Sunday, August 31, 2014

Mamta's rise to power was a great conspiracy against democracy?

মমতার ক্ষমতায় উত্তরণ গণতন্ত্রের উপর জোরালো ধাক্কা? 

'পরিবর্তন' কি ও কেন?
সূদীর্ঘ বাম শাসনের অবসান চেয়ে ২০০৯ থেকে রাজনৈতিক বিরোধীরা তো বটেই, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, গণসংগঠন এবং অন্যায্য-সুযোগ-না-পাওয়া, লোভী এবং সুযোগসন্ধানী বাংলার 'বুদ্ধিজীবি'রা একটা চক্রান্তে লিপ্ত হলেন।
ঘটনাচক্রে, সেই সময় নাগাদই, বিধান রায়ের পর বাংলার, সৎ এবং পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শিল্পায়ন নীতি - শিল্পবন্ধ্যা বাংলায় - সুফল আনতে শুরু করেছে! ভারতের তথা বিশ্বের অন্যতম সফল শিল্পগোষ্ঠী টাটা, বাংলায় বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন। টাটা গোষ্ঠীর সুনাম এবং বাংলায় বিনিয়োগে আগ্রহ আরও বহু শিল্পগোষ্ঠীকে বাংলায় বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলেছে! 
কিছু কিছু জিনিষের সুফল সাধারণ মানুষ তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারেন না। এজন্যই 'দূরদৃষ্টিসম্পন্ন' কথাটি চালু আছে। 
সবাই 'দূরদৃষ্টিসম্পন্ন' হন না। সেটা স্বাভাবিক। 
কেঊই 'দূরদৃষ্টিসম্পন্ন' নন, এটা দূর্ভাগ্য! 
বাংলা সেই মূহুর্তে সেই দূর্ভাগ্যের শিকার হল ঐ চক্রান্তের কারণে! 

'পরিবর্তন' মঙ্গল না অমঙ্গল ?
সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর গাড়ী শিল্পে বিনিয়োগের কারণে অতি অল্পসংখ্যক মানুষ জমি হারা হলেন! ঐ মানুষগুলি ঐ মুহুর্তে শিল্পস্থাপনার সূদূরপ্রয়াসী সুফল বুঝতে না পেরে ক্ষুব্ধ হলেন জমি হারানর কারণে। টাটা গোষ্ঠী কিন্তু ঐ মানুষগুলিকে উদার ভাবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছিলেন। তৎসহ, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে ঐ গাড়ী শিল্পে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করছিলেন! 
কিন্তু তাতে মানুষের উপকার হলেও চক্রান্তকারীদের পেট তো ভরবে না! 
ঐ জমি হারানো মানুষগুলির ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে ঐ চক্রান্তকারীদের মিলিত উদ্যোগে এমন এক রাজনীতিকের উদয় হল, নিজস্ব জীবনে এবং রাজনীতিতে মিথ্যাচার আর অনাচার ছাড়া যার অবদান সর্বদাই নেগেটিভ। 

কে লাভবান হল?
''সততার প্রতীক" ঢক্কানিনাদে ঐ মিথ্যাচারীকে তুলে ধরতে অর্থের সংস্থান করতে এগিয়ে এল সেই গরীব মানুষের সঞ্চয় অপহরণকারী চিটফান্ড সংস্থাগুলি! হাতেনাতে তার সুফলও পেল চিটফান্ড সংস্থাগুলি! ক্ষমতায় উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গেই শাসকদলের মন্ত্রী নেতাদের যোগসাজশে চিটফান্ড সংস্থাগুলি বহুগুণ বাড়িয়ে ফেলল তাঁদের ব্যবসা। সর্বস্বান্ত হল বাংলার জনগণ! 
সেই চিটফান্ড সংস্থার টাকা বাংলাদেশে পাচার হয়ে অস্ত্র এল ভারতীয় মাওবাদীদের হাতে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শিল্পায়ন কে ধ্বংস করতে! বাংলার অন্যায্য-সুযোগ-না-পাওয়া লোভী এবং সুযোগসন্ধানী 'বুদ্ধিজীবি'রা মানবাধিকার সংগঠনের আড়ালে মাওবাদীদের মদত জোগাতে লাগলেন! 
বাংলার সংবাদমাধ্যম, খুবই দুঃখের ব্যাপার, খালি কমিউনিজম-এর প্রতি অন্ধ বিরুপতার কারণে মদত যোগাতে লাগলেন এমন এক রাজনীতিক কে যার আদর্শ ক্ষমতার লোভে যাবতীয় অনাচার আর নৈরাজ্যকে প্রশয় দিয়ে যাওয়া। 
 Who is Sasadhar Mahato
ইঙ্গিত টা সেদিনও ছিল, সাধারণ মানুষ বুঝতে না পারলেও আলোকপ্রাপ্ত সংবাদমাধ্যম (চিটফান্ডের টাকার জোরে, কেবল ঐ মিথ্যাচারী রাজনীতিকের প্রচারের উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা ভুঁইফোঁড় সংবাদমাধ্যমের কথা বলা হচ্ছে না) এই দিকে স্বেচ্ছান্ধ হয়ে থেকে ঐ মিথ্যাচারী রাজনীতিকের প্রশয় দিয়ে বাংলাকে অন্ধকারে ঠেলে দিলেন!
হয়ত ওরা ভেবেছিলেন, যে ক্ষমতা পেলে মিথ্যা আর অযোগ্যতা বদলে যাবে! 
কিন্তু কয়লা ধুলেই কি ময়লা যায়?

সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা
সেদিন যে ওরা (আলোকপ্রাপ্ত সংবাদমাধ্যম) মারাত্মক ভুল (অন্যায়?) করেছিলেন, সেটা স্পষ্ট, ১৪ই আগষ্ট ২০১৪ আনন্দবাজার পত্রিকা সম্পাদকীয়তে লেখা হল - "পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখা যাইতেছে, নিয়ত ‘আমি করিয়া দিতেছি’, ‘আমি করিয়া দিলাম’ বলিয়া শত-শত প্রকল্প উদ্বোধন করিতে। কিন্তু ওই প্রকল্পগুলি তাঁহার দয়ার দান নয়, হয় কেন্দ্রীয় অনুদানে নতুবা রাজ্যের কোষাগারে সঞ্চিত 
করদাতাদের অর্থে রূপায়িত হইতেছে। তাই তাহার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে কৃতিত্ব দাবি করার মধ্যে সংকীর্ণ স্বার্থবুদ্ধির প্রতিফলন থাকিয়া যায়।" 
ঐ সংকীর্ণ স্বার্থবুদ্ধি, ক্ষমতার লোভ, উন্নয়নের ভাঁওতা আর সাংবিধানিক ক্ষমতার যথেচ্ছ অপব্যবহার যে 'মমতা'হীন ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন এর জন্ম দিল বাংলার রাজনীতিতে তাঁর দূর্বার গতিতে কর্মসংস্থানহীন, শিল্পহীন, উন্নয়নহীন পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের প্রত্যক্ষ মদতে খুন-ধর্ষণ-সন্ত্রাসের ভয়াবহ আবহ তৈরি হয়েছে।

পরিণাম ও পরিত্রাণ
পরিশ্রমবিমুখ, শিক্ষাহীন যুবকেরা কর্মসংস্থানহীন বাংলায় সহজে জীবিকা অর্জনের তাগিদে শাসক দলের মদতে তোলাবাজি, সন্ত্রাসের রাস্তা বেছে নিয়েছে।
শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা রাজ্যত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। 
নৈরাজ্যের পশ্চিমবঙ্গে অন্য কোন উপায়হীন 'বুদ্ধিজীবিরা' সরকারী দাক্ষিণ্যের উচ্ছিষ্টের আশায় চোখ কান বন্ধ রেখে বিবেক জলাঞ্জলি দিয়ে শাসক দলের তাঁবেদারী আর তার নেত্রীর স্তাবকতায় ব্যস্ত! 
শিল্পহীন পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যমও সরকারী বিজ্ঞাপনের দাক্ষিণ্যের ভরসায় টিঁকে থাকার তাগিদে শাসক নেত্রীর ভজনায় নিয়োজিত!
আলোকপ্রাপ্ত সংবাদমাধ্যম আজ নিজেদের প্রশয় দেওয়া ঐ 'মমতা'র সমালোচনায় যতই শ্রমনিবেশ করুন না কেন নিবিড় গণআন্দোলন আর ব্যাপক রক্তক্ষয় ছাড়া সহজে এই রাহুমুক্তি ঘটবে না!
এই বাংলায় এই সময়ে এই শাসক দলের দ্বারা কোন উন্নয়ন বা শিল্পস্থাপনার আশা করা চরম ভুল! 

মাওবাদীদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে বাম আমলে যৌথ বাহিনীর প্রত্যাহার দাবী করেন মমতা, ক্ষমতায়
এসেই সেই যৌথ বাহিনীর সাহায্যে মাওবাদী নেতা কিষেণজীর হত্যা করান হয়। (ভিডিও)

মমতা কি ভাবে ক্ষমতায় এল? 

Saturday, August 30, 2014

Left is welcome to Mamta to see herself in power

ক্ষমতার এতই লোভ! 



Mamta trying to save her defeat in next Assembly poll

BJP tears into Mamata Banerjee’s newfound love for Left



The state BJP president remarked that Mamata had drawn inspiration from the “immoral alliance” between Lalu Prasad and Nitish Kumar in Bihar. 

KOLKATA: Mamata Banerjee's newfound love for the once-untouchable CPM to keep BJP at bay has drawn flak from the state BJP unit.

Party state president Rahul Sinha on Saturday borrowed the "watermelon" (green outside and red inside) phrase from Mamata's book on Saturday to hit out at her party. "If Congress is watermelon, Trinamool is hybrid watermelon," said Sinha, deriding Mamata's statement in a TV interview that she was not averse to an alliance with CPM to take on BJP.

CPM politburo member Surjya Kanta Mishra was quick to turn down the proposal of an alliance with Mamata on the ground that she was the one who gave BJP a toehold in Bengal. Sinha, on the other hand, said that Mamata's statement reflected the fear she had of BJP's rise in Bengal.

"The Trinamool chief thought that she could retain the minority votebank by donning a burqa or trying to curry favour with Muslim clerics by reaching out to them during namaz. But her bid to influence the Muslim population through a handful of clerics didn't work. As many as 1.75 lakh Muslims have voted for BJP when Mamata had taken them for granted. In Bengal, her sway over the 28% Muslim votebank has become unstable. This is what bothers her the most. Otherwise, with the Muslim votebank remaining intact, Trinamool planned to steer clear by manipulating a small percentage through rigging and intimidation," Sinha said.

The state BJP president remarked that Mamata had drawn inspiration from the "immoral alliance" between Lalu Prasad and Nitish Kumar in Bihar. "The Lalu-Nitish alliance may have worked to some extent in the bypolls, but it is not going to work in the long run. Mamata can't checkmate the BJP by tying up with the Left. The Left Front's strength has eroded in many areas. The alliance won't work in Bengal," Sinha said.

He cited an instance in which a Left Front municipality chairman had come to meet him. "The chairman came to my party office one day and told me that Trinamool was offering him money to change camps. He promised that he would join BJP along with all the board members if I matched the amount that Trinamool offered him. I told him that our party didn't believe in horse trading. I asked him why he was not joining Trinamool instead? Later, I found out that all his grassroots-level workers had already joined our party and the leaders stood no chance of winning the municipal polls," Sinha said.

Is the small fish arrests made in Saradha scam to spare Big fish?

Saradha con: Big fish feel the heat



KOLKATA: Back-to-back arrests by CBI last week of two powerful players with heavy-duty political backing in the almost Rs 3,500-crore Saradha scandal have rattled many politicians. With these arrests, investigators may be a step closer to untangling the web of transactions through which nearly 1.7 million investors were defrauded by a nexus of businessmen, politicians, policemen, journalists and sports personalities. 

CBI became the fourth agency three months ago to join the probe with Enforcement Directorate (ED), I-T department and the Serious Frauds Investigation Office under Supreme Court instructions. 

Worryingly, with every expose Bengal's ruling Trinamool Congress has been inching closer to the scandal.One party minister and two MPs have been questioned; an RS MP is in custody . Other leaders may be summoned for interrogation. 

ARRESTING POWERS 

CBI's recent arrests of East Bengal Club's official Debabrata Sarkar and Kamla Tea and Orion IT Park owner Sajjan Agarwal's son Sandhir could mean more names tumbling out. Sarkar, aka Nitu, has powerful connections. Sandhir claims he's close to a "super VIP politician" in Delhi who he calls "uncle". The Agarwals and Sarkar are accused of misappropriating Rs 40 crore of Saradha money parked with a "top industrialist" in Mumbai.

Till Tuesday, 11 arrests had been made in the case.Saradha boss Sudipta Sen and four company directors are in custody . The other significant arrest was of suspended TMC MP Kunal Ghosh. Subsequently, ED arrested Sudipta's son, Subhajit, wife Piyali and Global Automobile Company owner Shantanu Ghosh for alleged fraudulent dealings. 

CBI insists this is the tip of the iceberg. About 100 agency officers are working in 31 locations across Delhi, Kolkata, Odisha and Guwa hati, searching premises of people Sudipta named in his purported 18-page letter to CBI. Kunal Ghosh, who was also Saradha Media CEO when he was booked, too wrote to CBI making damaging claims. 

PROBE LIGHTS 

Among those Sudipta and Kunal apparently named in their letters were former Union minister Matang Singh, his estranged wife, Manoranjana, former Bengal DGP and now TMC "observer" Rajat Majumdar, media owner Ramesh Gandhi, Saradha staffers and former SEBI and Registrar of Companies officials. At least four MPs and an equal number of MLAs, including two powerful ministers, are under CBI scanner. The agency is probing two top former SEBI officials and an industrialist-turned-MP also mired in the coal scam. 

CBI officers have searched Matang Singh's Delhi premises for documents on Sudipta's purchase of Northeast TV shares. The jailed Saradha boss claimed he paid Rs 25 crore to Manoranjana's company, GNN Pvt Ltd, and Rs 3 crore to her father, K N Gupta. 

In Kolkata, investigators searched former D-G Rajat Majumdar's house and questioned him about the work he did for Saradha, particularly his role in the company-sponsored Banga Sammelan organized under the aegis of the North Atlantic Bengali Conference from July 6-8, 2012 at Las Vegas. 

ED questioned Mithun Chakraborty and Aparna Sen -Mithun for his role as Saradha brand ambassador and Aparna as editor and CEO of Saradha group magazine Parama, launched in 2011 by CM Mamata Banerjee. After the six-hour questioning, Aparna said: "I was an employee and edited a magazine. I've submitted documents I had. Investigators will get all support." 

Sudipta apparently told ED he invested around Rs 2 crore in the magazine. 

Bengal textile minister and Bishnupur MLA, Shyamapada Mukherjee's name surfaced after investigators scrutinized Saradha's deal with a company called Landmark Cement. Sudipta acquired this firm in 2010 from Mukherjee despite its zero income. In 2005-06, Landmark registered a Rs 45,000 loss which shot up to Rs 8 lakh the next year. Despite that, a Kolkata nationalized bank gave it a loan before Saradha bought it. 

"Sudipta claimed he paid Rs 10 crore for Landmark, retaining Shyamapada's wife on the board with a salary," an ED official said.Mukherjee claimed he got Rs 2.8 crore for the factory insisting "everything was transparent". 

THE GIFT TRAIL 

ED and CBI have also scrutinized `gifts' to Trinamool heavyweights: MPs and MLAs. Sudipta, sources said, bought a Ferrari on the insistence of a party leader in 2012 using his group outfit Saradha Tours and Travels to place an order for the dodgy import. Sleuths have reasons to believe that a woman -a British passport-holder -was sent money through hawala for the car. She transferred the sum to an agent in Germany and was paid around Rs 1.8 crore, sources said. 

CBI identified three flats Sudipta says he `gifted' a senior TMC leader, one in Mumbai, two in Kolkata.Investigators have traced 60 acres of farmland Sudipta bought in Odisha. To probe this, they're set to call his Odisha operations in-charge: A 30-something Saradha Realty director.Like Debjani Mukherjee, Sudipta's No. 2 also in custody, this woman's rise too was dramatic. She joined as a trainee in 2006. 

Bengal SIT constituted by Mamta was to hide facts, CBI reveals

Saradha scam: CBI raid stuns Bengal SIT



KOLKATA: Forty members of a crack CBI team were flown to Kolkata on Thursday morning to conduct whirlwind raids across the city, taking state police completely by surprise. Bidhannagar cops tried out their usual delaying tactics, claiming that they did not have the keys to Sudipta Sen's HA block flat. The CBI team simply broke the locks. 

Bengal SIT officers — already dreading CBI action for failing to provide all evidence to the central agency — were in for a shock. CBI's surprise raiders comprised bank officers and officers who had earlier probed the Satyam fraud. If the agency wanted to send out a message, they were successful. 

At the airport itself, the sleuths split into smaller teams and crisscrossed the entire length of the city. Their first stop was Saradha's Midland Park office, after which they moved quickly to the FD, HA and BN block properties in Salt Lake by noon. The maximum focus was on Saradha's Behala office and Sen's residences in Salt Lake. The search at Behala started at 2pm and lasted four hours, after which the last stop was Bishnupur in South 24-Parganas. The search at Sen's HA home lasted over seven hours. 

CBI said new, crucial documents were unearthed in every search. "CBI today conducted searches in 10 locations — five houses of arrested persons and five offices of two private companies. Incriminating documents relating to various business transactions have been recovered," a CBI spokesperson said in Delhi. 

"We were amazed to find LCDs worth crores at the HA property. We also found old, expensive wine, some of which cost Rs 35,000 per bottle. At the Behala office, we found a secret room from where several bank documents were seized," said a source. Seeing the raid, many duped investors gathered outside the HA block house, urging them to unearth "documents that Bidhannagar police were hiding". Though reports of CBI recovering trunks and fridges packed with documents kept doing the rounds all day, CBI officials refused comment. 

Simultaneous raids were carried out in Odisha at 20 locations, including the houses of two top BJD and BJP politicians. 

In Kolkata, cops were taken by surprise. "The CBI team had told us that they would meet us on Wednesday to discuss evidence but did not turn up. On Thursday, they flatly told us that we must arrange for raids within half an hour and that they would meet us once their raids get over. We are expecting a team to reach the Bidhannagar police HQ late tonight," said a state SIT officer. Interestingly, this officer did not claim that all evidence had been handed over to CBI, as claimed by CID officials earlier. "We will share all evidences and seizure lists yet again if required," he said. Many see this as a climbdown as SIT had earlier refused to entertain both CBI and ED's pleas. Highly-placed sources said CBI is in the process of receiving documents related to the scam from Bengal and Odisha Police. "CBI director Ranjit Sinha met Bengal DGP GMP Reddy recently where he was assured of all help related to the probe," said the source. 

The Enforcement Directorate (ED) has issued orders for attachment of Saradha property worth Rs 5.40 crore in Assam and Tripura under money laundering laws. These include a resort and a pricey land in Guwahati, a plot in Dhubri and a biogas plant in Tripura, officials said, adding all these assets were allegedly purchased by Sudipta Sen using tainted money. "These assets have been frozen as proceeds of crime," an officer said. With this, ED has attached assets worth around Rs 146 crore so far.

Mamta can do anything for staying in power!

পুরনো, প্রকৃত তৃণমূলকর্মীরা বিজেপিতে আসুন, মমতার বামে ঝোঁকার ইঙ্গিতকে কটাক্ষ করে ডাক রাহুল সিংহের



কলকাতা: পুরনো এবং প্রকৃত তৃণমূলকর্মীরা দল ছাড়ুন, যোগ দিন বিজেপিতে। আজ এই আহ্বান জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। সিপিএম, তৃণমূল জোট সম্ভাবনার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার প্রেক্ষিতেই এই আহ্বান রাহুলের।
বিজেপিকে ঠেকাতে প্রয়োজনে বামেদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন,। তৃণমূলনেত্রীর এই ইঙ্গিতের পর এখন ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, মমতার জোটের ইঙ্গিতে আরও একটি ইঙ্গিত স্পষ্ট, এ রাজ্যে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে বিজেপি। তাই বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূল যে একদিন বামেদের হাত ধরবে তার পূর্বাভাস দিয়েছিল দল। সেটাই আজ বাস্তব হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে, তৃণমূলকর্মীদের প্রতি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সিপিএমের উচ্ছিষ্ট নিয়ে দল ভরাচ্ছে বিজেপি, তৃণমূলনেত্রীর এই কটাক্ষেরও পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।

সিপিএমের ভূমিকাকেও এদিন সমালোচনা করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের দাবি, মমতার প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করেনি সিপিএম বরং ঘুরিয়ে শর্ত রেখেছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে ধ্বস নামছে বুঝতে পেরেই সিপিএমের হাত ধরার কথা বলছে তারা। এতদিন তৃণমূলনেত্রীর ধারণা ছিল ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট পেলে জয় সুনিশ্চিত। এখন বুঝতে পারছেন, মুসলিম ভোটে থাবা বসিয়েছে বিজেপি।

Mamta rewards the cop who helped her hide Saradha scam culprits of her party

‘Reward’ posting for Saradha cop

Arnab Ghosh
Calcutta, June 30: Arnab Ghosh, who had been probing the Saradha scam as chief of the detective department of the Bidhannagar police commissionerate, was today transferred as the Nadia superintendent of police.
Some sources interpreted the transfer as a “reward”. They pointed out that the state probe into the Saradha case till now had not unearthed anything that had hurt the ruling party.
On the contrary, it was the Centre-run Enforcement Directorate (ED) that tracked down Saradha chief Sudipta Sen’s wife and son although they were staying in Calcutta all the while.
Ghosh joined as deputy superintendent of police in the state force and became an IPS officer in 2007. He was made the deputy commissioner of police at the detective department of Bidhannagar police commissionerate in February 2013, a month before Sudipta Sen was arrested along with his deputy Debjani Mukherjee.
ED officers had accused Bidhannagar police under Ghosh of not cooperating with them in their probe to find out the ultimate beneficiaries of the scam.
The alleged tussle between the ED and the Bidhannagar police became apparent when the central agency wanted to open a bank locker in Salt Lake that was in the name of Sen’s wife Piyali. The locker had been seized by Bidhannagar police a year ago but no one had taken the initiative to open it.
But when the ED expressed its desire to open the locker, Bidhannagar police swung into action and obtained a court order in a day and seized the articles kept in the locker.

(Source: The Telegraph)

Poorest condition of Administration in West Bengal

কলাভবনের ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’, অবশেষে চাপের মুখে ৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর




বীরভূম: ভিন রাজ্য থেকে আসা কলাভবনের ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চাপের মুখে এফআইআর করতে বাধ্য হল বিশ্ব‍ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়৷ ৪ জনের বিরুদ্ধে আজ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে ৩ জন কলাভবনের ছাত্র, ১ জন বহিরাগত৷ ঘটনার তদন্তে বোলপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে গঠিত তদন্তকারী দল৷।।

বিশ্ব‍ভারতীতে পড়তে এসে ভিন রাজ্যের ছাত্রীর নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ট করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, এই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইতিমধ্যেই৷ তীব্র সমালোচনার মুখে বাধ্য হয়ে অবশেষে অভিযোগ পাওয়ার চারদিন পর এফআইআর দায়ের হল৷ শনিবার বিশ্ব‍ভারতী কর্তৃপক্ষই প্রেস বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়৷ ৪৮ ঘণ্টায় তাদের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কলাভবনের ৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে৷ সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই তিন ছাত্রকে৷ সূত্রের খবর, ৩ ছাত্রের পাশাপাশি আরও ১ বহিরাগতের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে বোলপুরের এসডিপিও সূর্যপ্রতাপ যাদবের  নেতৃত্বে গঠিত তদন্তকারী দল৷।
ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন ছাত্রছাত্রীরা৷ তাঁদের দাবি, বিশ্ব‍ভারতীতে পডুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে৷ পাশাপাশি শাস্তি দিতে হবে দোষীদের৷

সিকিম থেকে বিশ্ব‍ভারতীর কলাভবনে পড়তে এসেছিলেন অভিযোগকারিণী ছাত্রী৷ তাঁর দাবি, মেস খুঁজে দেওয়ার নাম করে কয়েকদিন আগে তাঁকে পূর্বপল্লির একটি বাড়িতে নিয়ে যায় কলাভবনের ৩ সিনিয়র ছাত্র৷ সেখানে তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে তারা৷ ছবি তুলে রাখা হয় মোবাইলে। অভিযোগ, সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে ওই ছাত্রেরা৷
গোটা ঘটনা নয়া মাত্রা পায় শুক্রবার৷ বিশ্ব‍ভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার কথা না জানাতে চাপ দিচ্ছে বিশ্ব‍বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে না দিয়ে ওই ছাত্রী এবং তাঁর বাবাকে কার্যত নজরবন্দি করে বাড়ি ফেরার ট্রেনে তুলে দেয় বিশ্ব‍ভারতী কর্তৃপক্ষ৷। ঘটনার জেরে প্রশ্ন ওঠে বিশ্ব‍ভারতীর ভূমিকা নিয়ে৷ অবশেষে বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ২৪ ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের করলেও  প্রশ্ন উঠছে, ছাত্রীটি তো অভিযোগ জানিয়েছেন ২৬ তারিখ৷ তাহলে থানায় এফআইআর করতে কর্তৃপক্ষের কেন চারদিন সময় লেগে গেল? কেন ছাত্রীকে ফিরতি ট্রেনে তুলে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর দায়ের করা হল অভিযোগ?

Friday, August 29, 2014

Cheap publicity stunt by Mamta on Sarada

সম্পাদকীয় ২

তৃতীয় রিপু

১৬ মে, ২০১৪, ০০:০০:০০


  (সৌজন্য - আনন্দবাজার পত্রিকা)

সারদা কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-এর হস্তে অর্পিত হইলে যে মুখ্যমন্ত্রীর ‘আমানত ফেরত অভিযান’-এর উত্তরাধিকারটিও সহগামী হয়, রাজ্যবাসী তাহা সদ্য জানিয়াছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষবিপক্ষের রাজনীতিকরাও জানিয়াছেন এবং নিজ নিজ রাজনৈতিক বর্ণের প্রতি বিশ্বস্ত থাকিয়া প্রতিক্রিয়াও জানাইয়াছেন। কেহ রাজকোষ হইতে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার অযৌক্তিকতার কথা তোলেন নাই। রাজকোষ উজাড় করিয়া খয়রাতিতে যে অনৈতিক কিছু আছে, জনপ্রিয়তাসর্বস্ব রাজনীতিতে আকণ্ঠ মজ্জিত নেতারা সম্ভবত তাহা বুঝিতে পারেন না। বুঝিলেও, আমানতকারীরা কেন ডুবিয়াছেন, তাহা স্বীকার করিতে তাঁহাদের রাজনীতিতে বাধে। অসাধু লগ্নি সংস্থায় টাকা রাখিয়া আজ যাঁহারা নিঃস্ব, তাঁহারা স্বখাতসলিলে ডুবিয়াছেন। লোভ তাঁহাদের ডুবাইয়াছে। সেই তৃতীয় রিপু। অর্থবান হইবার লোভ, সচ্ছলতার লোভ। ভাল থাকিতে চাহিবার মধ্যে কোনও অন্যায় নাই। বস্তুত, ওই আদিম রিপুটির তাগিদেই মানবসভ্যতা আগাইয়াছে। কিন্তু, ভাল থাকিবার ইচ্ছা এক কথা, তাহার জন্য কাণ্ডজ্ঞানবিস্মৃত হওয়া আর এক। যেখানে সৎ পথে বড় জোর আট শতাংশ সুদ মিলে, সেখানে সারদার ন্যায় সংস্থা কী ভাবে চার বৎসরে লগ্নি দ্বিগুণ করিয়া দিতে পারে, এই প্রশ্নটি না করিবার মধ্যে বিপুল দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আছে। যাঁহাদের টাকা মার গিয়াছে, তাঁহারা গরিব বলিয়াই এই লোভ মার্জনা করিতে হইবে?

সত্য, লোভ বস্তুটি গরিবের একচেটিয়া নহে। ২০০৭-০৮ সালের যে আর্থিক সংকট গোটা দুনিয়াকে নড়াইয়া দিয়াছিল, তাহারও মূলে ছিল লোভ। বিত্তশালীদের লোভ। লোভ ব্যতীত কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারিই সম্ভব নহে। জালিয়াতির মূলধন হইল প্রাপ্যের অধিক পাইবার বাসনা। সব লোভই যে বন্ধ্যা, তাহাও নহে। সারদায় বিনিয়োগ করিয়াও অনেকেই প্রতিশ্রুত অর্থ ফেরত পাইয়াছেন। তাঁহাদের প্রাপ্তি দেখিয়া আরও অনেকের লোভ বাড়িয়াছে। তাঁহারাও বিনিয়োগ করিয়াছেন। যে কোনও পনজি স্কিমেই শেষ দফার বহু লোকের টাকা মার যাওয়া প্রথম দিকের আমানতকারীদের লাভের শর্ত। সারদার ক্ষেত্রেও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে নাই। নেতা-মন্ত্রীদের হাবভাব দেখিলে আশঙ্কা হয়, ভবিষ্যতেও এই গোত্রের প্রকল্প এবং তাহার প্রতারণার ধরন অব্যাহত ও অপরিবর্তিত থাকিবে।
এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল খুলিয়া ভবিষ্যতের বিপদের জমি প্রস্তুত করিতেছিলেন। সাধারণ মানুষ জানিবেন, এক বার যখন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ দিয়াছেন, ভবিষ্যতেও দিবেন। অর্থাৎ, তাঁহার বর্তমান খয়রাতি ভবিষ্যৎ আমানতকারীদের জন্য একটি বিমা হইয়া থাকিল— আর্থিক সংস্থা ফেল করিলে সরকার বাঁচাইবে। এই বিনিয়োগে ঝুঁকি নাই, কারণ সরকার সেই ঝুঁকির দায়িত্ব লইতেছে। যে কোনও স্বেচ্ছা-বিনিময়ই লাভ-ঝুঁকির আপেক্ষিক হিসাবের উপর নির্ভরশীল। জালিয়াত সংস্থায় লাভের পরিমাণ যেমন বেশি, ঝুঁকিও তেমনই বেশি। সরকার সেই ঝুঁকির দায়িত্ব লইলে লাভের পাল্লা ঝুঁকিয়া পড়ে। ফলে, জালিয়াত সংস্থার বাড়বাড়ন্ত হইবে। জনপ্রিয়তা অর্জনের অদম্য তাড়নায় রাজ্য সরকার যাহা করিয়াছে, তাহা পশ্চিমবঙ্গের গরিব মানুষকে আরও বেশি দায়িত্বজ্ঞানহীন, লোভী হইয়া উঠিতে উৎসাহ দিতে পারে। এবং, অন্যান্য দলের নেতারাও দৃশ্যত এই বিপজ্জনক খেলার আগ্রহী দর্শক। লোভ তাঁহাদেরও বড় কম নহে।

Ponzi scheme money in show biz?

লগ্নি সংস্থার টাকা কি টলিউডে, ফের প্রশ্ন

ইন্দ্রনীল রায়   (সৌজন্য - আনন্দবাজার পত্রিকা)

কলকাতা, ২৯ অগস্ট, ২০১৪, ০৪:০০:৩৪


সারদায় সিবিআই হানা নিয়ে তোলপাড়ের মুহূর্তেই টলিউডে ফের মাথা চাড়া দিল বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার ভ্রূকুটি।
গ্রিনটাচ এন্টারটেনমেন্ট টালিগঞ্জে একটি পরিচিত নাম। তাদের প্রযোজিত একটি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে আজ, শুক্রবার। আরও বেশ কয়েকটি ছবির কাজও চলছে এই প্রযোজকের ব্যানারেই। নতুন ছবির পোস্টারে, আমন্ত্রণপত্রে ছবির নিবেদক হিসেবে নাম রয়েছে শ্যামসুন্দর দে-র। এই শ্যামসুন্দর দে গ্রিনটাচ প্রোজেক্টস লিমিটেড নামে সংস্থারও কর্ণধার। যার আর্থিক লেনদেনের উপরে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেবি।
চলতি মাসের ৭ তারিখ সেবি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “এই সংস্থা (গ্রিনটাচ প্রোজেক্টস লিমিটেড) ১৯৫৬ সালের কোম্পানি আইন এবং ২০০৮ সালের সেবি নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা লঙ্ঘন করে ৪৯ জনের বেশি ব্যক্তির কাছ থেকে সিকিওরড রিডিমেব্ল ডিবেঞ্চারের (ফেরতযোগ্য ঝুঁকিহীন ঋণপত্র) মাধ্যমে টাকা তুলেছে।”
এই পরিস্থিতিতে গ্রিনটাচ প্রোজেক্টস লিমিটেড-এর প্রতি সেবির নির্দেশ, “সেবি-র আগাম অনুমতি ছাড়া এই সংস্থা বা তার ডিরেক্টররা জনসাধারণের কাছ থেকে তোলা টাকায় কেনা সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবেন না। এই সূত্রে পাওয়া টাকা সংস্থার তহবিলে বা কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা থাকলে তা-ও খরচ বা হস্তান্তর করতে পারবেন না।”
এই নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রিনটাচ এন্টারটেনমেন্টের কাজকর্ম ঘিরেও আইনি জটিলতার একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের মতে গোটা বিষয়টা নির্ভর করছে, গ্রিনটাচ এন্টারটেনমেন্টের সঙ্গে গ্রিনটাচ প্রোজেক্টস লিমিটেড-এর কী সম্পর্ক, তার উপরে। গ্রিনটাচ প্রোজেক্টস লিমিটেড যদি গ্রিনটাচ এন্টারটেনমেন্টের মূল সংস্থা (মাদার কোম্পানি) হয়, তা হলে সেবি-র নিষেধাজ্ঞা প্রযোজক সংস্থার উপরেও বর্তাতে পারে। ওই আইনজীবীদের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে হয় প্রযোজকদের প্রমাণ দিতে হবে যে, অর্থলগ্নি সংস্থার মাধ্যমে তোলা টাকা ছবির প্রযোজনায় খাটেনি। নচেৎ সেবি-র কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে আসতে হবে। দু’টোর কোনওটাই করা না-হলে সেবি পদক্ষেপ করতে পারে।
গ্রিনটাচ প্রোজেক্টস লিমিটেড এবং গ্রিনটাচ এন্টারটেনমেন্ট-এর মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক কী? শ্যামসুন্দরবাবু বলেন, “এই দু’টি সংস্থা আলাদা।” 
গ্রিনটাচ প্রোজেক্টস লিমিটেড-এর যে চার জন কর্ণধারের নামে সেবি নির্দেশিকা জারি করেছে, তাঁরা হলেন শ্যামসুন্দর দে, স্নেহাশিস সরকার, সুজয় সাহা এবং সুমন সরকার। গ্রিনটাচ এন্টারটেনমেন্ট প্রযোজিত সিনেমার পোস্টারে প্রযোজক হিসেবে শ্যামসুন্দর দে-র নামই থাকে। শুক্রবার মুক্তি পেতে চলা ছবির ক্ষেত্রেও তাই-ই রয়েছে। শ্যামসুন্দরবাবু এ দিন স্বীকার করেছেন, তিনি গ্রিনটাচ প্রোজেক্টস লিমিটেড-এর অন্যতম ডিরেক্টর। তাঁরই প্রযোজনায় তৈরি অভিজিৎ গুহ এবং সুদেষ্ণা রায় পরিচালিত এই ‘হারকিউলিস’ ছবিতে অভিনয় করছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
কী ভাবছেন শ্যামসুন্দরবাবু? তাঁর কথায়, “সেবি কী বলেছে, আমি ভাল করে জানি না।” কিন্তু সংস্থার এক জন কর্ণধার হিসেবে সেটা কী করে অজানা থাকল শ্যামসুন্দরবাবুর? “যদি জানতাম, তা হলে নিশ্চয়ই আপনাকে জানাতাম,” বলছেন তিনি। তাঁর প্রযোজনা সংস্থায় অর্থলগ্নির টাকা খাটে কি না, সে সম্পর্কে স্পষ্ট উত্তর মেলেনি শ্যামসুন্দরবাবুর কাছ থেকে।
টলিউডের বাজারে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার টাকা খাটার বিষয়টি অবশ্য একেবারেই নতুন নয়। এই জাতীয় বহু সংস্থাই বাংলা ছবিতে টাকা ঢেলেছিল। ২০১১-১২তে টলিউডে ৬০-৭০ শতাংশ ছবিই প্রযোজনা করত এই সংস্থাগুলো। সারদা কেলেঙ্কারির পরে অবশ্য তারা বেশির ভাগই বিনোদন ব্যবসা থেকে নিজেদের গুটিয়ে ফেলে।
প্রয়াগ গ্রুপ, অ্যালকেমিস্ট, রেম্যাক ফিল্ম, রুফার্স মিডিয়া, সিলিকন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, আইকোর এন্টারটেনমেন্ট রাতারাতি নিজেদের সরিয়ে নেয়। ‘ভাল থেকো’, ‘একটি আষাঢ়ে গল্প’, ‘আমি সায়রা বানু’, ‘জলে-জঙ্গলে’, ‘কাঁচের দেওয়াল’-এর মতো বহু ছবি মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। এমনকী ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু কমিউনিকেশনস’-এর ব্যানারে ‘মনের মানুষ’, ‘ল্যাপটপ’ ও ‘শব্দ’ বা ‘আশ্চর্য প্রদীপ’-এর মতো ছবি করা ‘রোজ ভ্যালি’-ও নিজেদের বিনোদন বিভাগ বন্ধ করে দেয়।
‘গ্রিনটাচ’-এর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইদানীং টালিগঞ্জের কার্যত নিয়ন্ত্রক বলে পরিচিত যুবকল্যাণ ও আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মন্তব্য করতে চাননি। প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা বলছেন, “ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার উপস্থিতি টালিগঞ্জের অনেক ক্ষতি করেছে।” তবে ইন্ডাস্ট্রির বেশির ভাগেরই একটাই প্রশ্ন, “কাউকে বাইরে থেকে দেখে কী করে বোঝা যাবে তার টাকার উৎস কী?”
তবে কি এখনও অনেক অর্থলগ্নি সংস্থা বকলমে টালিগঞ্জে টাকা ঢেলে চলেছে? প্রযোজক পীযূষ সাহার দাবি,  বেশ কিছু সংস্থা ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকে টাকা তুলে টালিগঞ্জে বিনিয়োগ করছে। প্রসঙ্গত, সেবি-র নির্দেশিকায় গ্রিনটাচ-এর টাকা তোলার ক্ষেত্র হিসেবেও বিহারের কথাই বলা হয়েছে।
শ্যামসুন্দরবাবুর সঙ্গে কাজ করা কলাকুশলীরা এ ব্যাপারে কিছু জানেন কি? পরমব্রত বলেন, “আমি এটুকুই জানি, শ্যামসুন্দরবাবু সৎ মানুষ। আমি মনে করি, উনি কখনওই আইনবিরোধী কাজ করবেন না।” রাজ চক্রবর্তীর মন্তব্য, “ব্যাপারটা ঠিক জানি না। শুধু চাইব, ওঁর যেন কোনও ক্ষতি না হয়।”

Madan Mitra to be interrogated by CBI

মদন মিত্রকে এ বার জেরা করতে চায় সিবিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা   (সৌজন্য - আনন্দবাজার পত্রিকা)

২৯ অগস্ট, ২০১৪, ২০:৪১:৪২




সারদা কেলেঙ্কারিতে এ বার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের এই বক্তব্যের সমর্থন মিলেছে সিবিআইয়ের অধিকর্তা রঞ্জিত সিন্হার কথাতেও। এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে এই প্রসঙ্গেই অধিকর্তা বলেন, “আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা গুটিয়ে আনছি। অফিসারদের পেশাদার মনোভাব নিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।”
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে মদন মিত্র একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পান। তবে কবে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মদনবাবু একটু সুস্থ হলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদিও এ দিন সারদা প্রসঙ্গে সিবিআইকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। এ দিন বসিরহাটে মুকুলবাবু বলেছেন, “বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছিল। কংগ্রেস আমলে নরেন্দ্র মোদীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ১৯ ঘণ্টা জেরা করেছিল সিবিআই। ফলে সিবিআই যে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, তা সকলের জানা।”
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা অবশ্য বলছেন, গত দু’দিনে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে সিবিআইয়ের হাতে যে তথ্যপ্রমাণ এসেছে তার ভিত্তিতেই এ বার পরিবহণ মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় এসেছে। বৃহস্পতিবার মদনের ঘনিষ্ঠ রেজাউল ওরফে বাপি করিমের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ওই দিন দুপুরে সল্টলেকে ডেকে জেরা করা হয় তাঁকে। শুক্রবার দুপুরেও বাপিকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে বাপি অবশ্য নিজেকে ও মন্ত্রীকে সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কহীন বলেই দাবি করেছেন।
এ দিন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুকে আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই তাঁকে আর নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি। বিচারক তাঁকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআইয়ের বক্তব্য, সেবি এবং আরবিআই অফিসারদের সঙ্গে সুদীপ্তর তরফে মধ্যস্থতা করতেন নিতু। তাঁর কাছ থেকে আরবিআইয়ের একাধিক কর্তার নাম জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে ধৃত ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবালের অফিস থেকে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে যেখান থেকে বহু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে।
অসমে মনোরঞ্জনা সিংহকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই অফিসারেরা এ দিন তাঁর খারগুলি ও রুক্মিণীগাঁওয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান। তল্লাশি চালানো হয় রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি জি এম শ্রীবাস্তবের বাড়িতেও। এ দিন মনোরঞ্জনাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। শুক্রবার অসমের ছাত্র সংগঠন আসুর সভাপতি শঙ্করপ্রসাদ রায় ও হিমন্তর স্ত্রীর মালিকানাধীন চ্যানেলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা তথা রাজীব বরার বাড়িতেও এ দিন তল্লাশি চালায় সিবিআই।

Letter of Sudipta Sen Sardha Group CMD to CBI

Sudipta Sen, CMD Sarada Group Letter to CBI





















(Pic Courtesy : http://www.scribd.com/doc/137809857/Sudipta-Sen-CMD-Sarada-Group-Letter-to-CBI)

Close Mamta aides interrogated by CBI on Saradah scam

সারদায় শুরু মাথার খোঁজ

সকালে হানা মদন-ঘনিষ্ঠের বাড়িতে, ডাক জেরাতেও

নিজস্ব প্রতিবেদন    (সৌজন্য - আনন্দবাজার পত্রিকা)

২৯ অগস্ট, ২০১৪, ০৪:১১:১৫










সিবিআই জালে এ বার প্রভাবশালী নেতাদের ক্ষমতাশালী ঘনিষ্ঠরা।
তিন রাজ্য জুড়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা এ দিন নিছক ২২ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাননি। তাঁরা হানা দিয়েছেন একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়িতেও। সেই তালিকায় এমন কয়েক জন রয়েছেন, যাঁরা আবার ক্ষমতাশালী নেতা বা মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। বৃহস্পতিবার এতগুলি জায়গায় হানা দিয়ে সিবিআই অফিসারেরা যে তথ্য পেয়েছেন, মনে করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতে আগামী দিনে আরও বড় ‘মাথা’দের নিজেদের জালে টেনে আনতে পারেন তাঁরা। 
সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্তের রায় দেওয়ার সময়েই সুপ্রিম কোর্ট সমাজের প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার কথা বলেছিল। দু’দিন আগে সিবিআই অধিকর্তা রঞ্জিত সিন্হাও বলেছিলেন, “ধৈর্য ধরুন। যাঁরা জড়িত, একে একে সবাইকে টেনে আনা হবে আমাদের জালে।” সেটা যে ফাঁকা আওয়াজ ছিল না, তার প্রমাণ পাওয়া গেল বৃহস্পতিবার।
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী রেজাউল করিমের বাড়ি ছিল এ দিন সিবিআইয়ের অভিযানের তালিকায়। তৃণমূলের আর এক নেতা আসিফ খানের পার্ক সার্কাসের বাড়িতেও এ দিন তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি মিলেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। বাদ যাননি প্রাক্তন পুলিশকর্তা দেবেন বিশ্বাসও। এক সময়ের সিপিএম বিধায়ক এই পুলিশকর্তা সারদা থেকে নিয়মিত বেতন নিতেন। এ ছাড়াও, সিবিআইয়ের হাতে ধৃত ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবালের অফিস এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রয়াত কর্তা পল্টু দাসের বাড়ি, ব্যবসায়ী সজ্জন অগ্রবালের অফিস-সহ কলকাতার মোট সাত জায়গায় হানা দেয় সিবিআই।
অসমেও এ দিন অভিযান চালানো হয়েছে প্রভাবশালীদের বাড়িতে। সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জন দত্ত, প্রাক্তন পুলিশকর্তা শঙ্কর বরুয়া এবং গায়ক সদানন্দ গগৈয়ের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। গুয়াহাটিতে আরও ৯ জায়গায় হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা। অসমের ধুবুড়িতেও দু’টি জায়গায় হানা দিয়েছেন তাঁরা। তল্লাশি চলেছে মুম্বইয়েও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক শীর্ষ কর্তার ইঙ্গিত, ভবিষ্যতে এমন তল্লাশি আরও বাড়ানো হবে।
সিবিআই সূত্রের খবর, এ দিন সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সাতটি দল কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। সকাল আটটার সময় নিজেদের ব্যাঙ্ককর্মী পরিচয় দিয়ে মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক রেজাউল ওরফে বাপির বাড়িতে হানা দেন সিবিআই অফিসারেরা। তল্লাশি চালিয়ে বাপির বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি ও আর্থিক বিনিয়োগের কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাপিকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। নির্দেশমতো বেলা আড়াইটে নাগাদ সল্টলেকে সিবিআই অফিসে হাজির হন বাপি। সিবিআই সূত্রের দাবি, এক সময় সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করতেন রেজাউল ওরফে বাপি। মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক হওয়া সত্ত্বেও তিনি কেন ঘনঘন সারদার অফিসে যেতেন, তা নিয়ে টানা কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির সামঞ্জস্য রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বেরোনোর সময় রেজাউল বলেন, “এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের হাতে আসা বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ আমাকে দিয়ে যাচাই করানো হয়েছে।”
সিবিআই সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে ইস্টবেঙ্গলের প্রয়াত কর্তা পল্টু দাসের বাড়িতে সকাল ন’টায় হানা দেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুর আর্থিক লেনদেনের বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে পল্টু দাসের বাড়ি থেকে। পল্টুবাবুর স্ত্রী রীনা দাসের কিছু আর্থিকবিনিয়োগের কাগজপত্রও গোয়েন্দারা আটক করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, পল্টুবাবুর পরিবারের সঙ্গে নিতুর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। কাশ্মীরে পালানোর আগে সিবিআইকে লেখা সুদীপ্তর চিঠিতেও আমহার্স্ট স্ট্রিটের একটি বাড়ির উল্লেখ ছিল। সেখানে টাকা লেনদেন হতো বলে সুদীপ্ত তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে, পল্টুবাবুর এই বাড়ির কথাই চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন সুদীপ্ত। বেলা দু’টো নাগাদ তল্লাশি শেষ হয়। পল্টুবাবুর পরিজনেরা জানান, রীনাদেবী অসুস্থ। কথা বলতে পারবেন না। কথা বলতে চাননি প্রাক্তন পুলিশকর্তা দেবেন বিশ্বাসও।
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে গত কয়েক দিনে নিতু, সন্ধির, শান্তনু ঘোষ, প্রাক্তন পুলিশ কর্তা রজত মজুমদার-সহ সারদার সঙ্গে জড়িত কয়েক জনকে জেরা করে এবং তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি করে কিছু সূত্র পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তার ভিত্তিতেই এ দিন তল্লাশি চলে।
শান্তনু ঘোষকে এ দিনও সিবিআই দফতরে ডেকে জেরা করা হয়েছে। গত সোমবারই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ এবং ‘কলম’ পত্রিকার শীর্ষকর্তা আহমেদ হাসান ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। গোয়েন্দারা বলছেন, তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার একদা সহচর আসিফ খানের সঙ্গে এক সময় ইমরানের ঘনিষ্ঠতা ছিল। তখন তিনি ‘কলম’ পত্রিকার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। সারদার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পরে ইমরানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় আসিফ ‘আজকের কলম’ নামে একটি আলাদা কাগজ তৈরি করেন। মাস কয়েক আগে সেই কাগজটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নিজেকে তৃণমূল নেতা বলেও দাবি করেন আসিফ। এ দিন অবশ্য বারবার ফোন করলেও তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল।
তদন্তে নেমে লাস ভেগাসে প্রবাসী বাঙালিদের একটি অনুষ্ঠান ও একটি বাংলা সিনেমার প্রিমিয়ার নিয়ে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। সেই প্রসঙ্গে সারদার পর্যটন ব্যবসা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে সিবিআই। বিভিন্ন লোককে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছিলেন, সারদার পর্যটন সংস্থা নিজেরা টিকিটের ব্যবস্থা না করে অন্য কয়েকটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই সূত্রেই এ দিন হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর এলাকার নরসিংহ বসু লেনে একটি বহুতলে হানা দেয় চার সদস্যের সিবিআই দল। গোয়েন্দারা জানান, ওই বহুতলের তিন তলায় রাজেশ শরাফ নামে এক পর্যটন ব্যবসায়ী থাকেন। তাঁর সংস্থার সঙ্গে সারদার পর্যটন ব্যবসার যোগ ছিল বলেই তদন্তকারীদের দাবি।
অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও অঞ্জন দত্তের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেই সূত্র ধরেই এ দিন হিমন্তর দু’টি বাড়ি ও তাঁর স্ত্রীর মালিকানাধীন বৈদ্যুতিন চ্যানেলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করা হিমন্ত এখন দিল্লিতে। এ দিন তাঁর বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সিবিআই হিমন্তর বাড়ি থেকে কিছু নথিপত্র নিয়ে যায়। চ্যানেলের অফিসেও অভিযান চালিয়ে কিছু নথি ও সিডি বাজেয়াপ্ত করা হয়। হিমন্ত জানিয়েছেন, তিনি কোনও টাকা নেননি। উল্টে তিনি সুদীপ্তর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। হিমন্তর বক্তব্য, সারদার বিস্কুট কারখানার উদ্বোধনে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সারদা যে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা, তা তিনি জানতেন না। তিনি এক বারই সুদীপ্তর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সুদীপ্ত তাঁকে দু’টি সংবাদপত্র উদ্বোধনের প্রস্তাব দিলে তিনি আসার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জন দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সুদীপ্তকে সংবাদপত্রের পরিকাঠামো ও যন্ত্রপাতি বিক্রি করে বাজারদরের চেয়ে বেশি টাকা নিয়েছিলেন। পরে অঞ্জনবাবু আনন্দবাজারকে জানান, সারদার তরফে তাঁকে যে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল, সব বাউন্স করে। তিনি সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে টাকা-গাড়ি বা অন্য কিছু নেননি। তাই, সিবিআই-এর বাজেয়াপ্ত করার মতো কিছু নেই। তিনি বলেন “সিবিআই যা জানতে চেয়েছে, আমি সব বলেছি। তদন্ত হলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি বহু দিন আগেই সুদীপ্তর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছি।”
সিবিআই এ দিন হানা দিয়েছে অসম পুলিশের প্রাক্তন ডিজি শঙ্কর বরুয়ার বাড়িতে। স্টেট ব্যাঙ্কের চেনিকুঠি শাখায় তাঁকে নিয়ে গিয়ে ব্যাঙ্কের তথ্য পরীক্ষা করা হয়। বরুয়া কোনও মন্তব্যে রাজি হননি। এ দিন তল্লাশি হয়েছে গায়ক এবং চিত্রনির্মাতা সদানন্দ গগৈয়ে সরুমটরিয়ার বাড়িতেও। অভিযোগ, সদানন্দ গগৈ গভীর রাতে হিমন্তকে নিয়ে সুদীপ্তর সঙ্গে বৈঠক করতেন। সদানন্দ অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি শুধু সারদার বিস্কুট কোম্পানির জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিলেন।
এ দিকে, ধুবুরিতে সারদার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আবদুল কাদের শেখের বাড়িতেও সিবিআই হানা দেয়। অভিযোগ, তিনি সারদার একশো কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। নামনি অসমে এজেন্টরা সারদা বলতে কাদেরকেই চিনতেন। সুদীপ্ত সিবিআইকে জানিয়েছিলেন কাদের নামনি অসম থেকে সংগ্রহ করা অর্থের ৯০ শতাংশই আত্মসাৎ করে। এই বছর মে মাসে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।