|
Showing posts with label CBI. Show all posts
Showing posts with label CBI. Show all posts
Wednesday, November 26, 2014
Intellectuals of Kolkata organised a rally to Save the Saradha thieves, by Mamta's order!
জালিয়াত চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন সারদার বিশাল অঙ্কের টাকা গায়েব করার পর কার নির্দেশে ঢাকা দিল ?
বেপাত্তা শুভার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ভাবনা
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

সিবিআই অফিসে হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
শৌভিক দে-র তোলা ছবি।
সারদা তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁকে তলব করেছিল সোমবার। কিন্তু বুধবারও সারাদিন কেটে গেল, পাত্তা নেই শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিল্পী মঙ্গলবার থেকে যে ভাবে গা ঢাকা দিয়েছেন, তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ইডি। শুভাপ্রসন্ন শেষ পর্যন্ত হাজির না হলে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু হবে বলে ইডি-র তদন্তকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতারও করা হবে। বস্তুত, বুধবার রাত থেকেই শুভাপ্রসন্নর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
সিবিআই ও ইডি-র বক্তব্য, গ্রেফতার হওয়ার আগে তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসু বারবার তদন্তকারীদের সামনে হাজির হয়েছেন। প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। কিন্তু শুভাপ্রসন্নর মতো ‘বিশিষ্ট’ শিল্পী যে ভাবে গা-ঢাকা দিয়েছেন, তাতে তাঁরা যারপরনাই অবাক। বুধবার রাত পর্যন্ত শুভাপ্রসন্নর হদিস মেলেনি। কিছু বলতে চাননি তাঁর পরিবারের লোকেরাও।
ইডি সূত্রের খবর, ‘দেবকৃপা ব্যাপার’ নামে একটি সংস্থা ছিল শুভাপ্রসন্নর। সেই সংস্থার অধীনেই ‘এখন সময়’ নামে একটি খবরের চ্যানেল তৈরি করেছিলেন তিনি। কোনও দিন শুরু না হওয়া সেই চ্যানেলটিই শুভাপ্রসন্ন বেচে দেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে। ওই লেনদেন নিয়ে শুভাপ্রসন্নকে আগেও একাধিক বার জেরা করেছে ইডি ও সিবিআই। শুভাপ্রসন্ন কিছু তথ্যও জমা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি তদন্তকারীরা। তার জেরেই ফের তলব করা হয়েছিল তাঁকে। ইডি-র তদন্তকারীরা জানান, তাঁরা এ দিন পর্যন্ত শুভাপ্রসন্নর হাজিরার অপেক্ষায় ছিলেন। এ বার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতার নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হবে। তবে কি ইডি শুভাপ্রসন্নর গোপন ডেরার খোঁজ পেয়েছে? উত্তরে শুধুই মুচকি হেসেছেন একাধিক ইডি কর্তা।
সারদা তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে অনেকেই বলছেন, রাজ্যের প্রভাবশালীদের ক্রমশই ঘিরে ফেলছে সিবিআই ও ইডি। এঁদের অনেকেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তথ্য দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয়কে এ দিন আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। ক্লান্ত চোখমুখ, গলায় কলার বেল্ট পরা সৃঞ্জয়ের সঙ্গে দেখা করতে এ দিন আদালতে এসেছিলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার ব্যারেটো। সৃঞ্জয় আদালতে জানান, তাঁর উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। সুগার ওঠানামা করছে। একটু দাঁড়ালেই মাথা ঘুরছে। অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। সৃঞ্জয় বলেন, “মায়ের কিডনি প্রতিস্থাপনের দিনেও সিবিআই অফিসে হাজিরা দিয়েছি। আমায় জামিন দেওয়া হোক। প্রয়োজনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আমি সিবিআই অফিসে থাকতে রাজি।” বিচারক হারাধন মুখোপাধ্যায় অবশ্য সৃঞ্জয়কে ফের তিন দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
এ দিকে, অসমের প্রভাবশালীদেরও জেরা অব্যাহত। সে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী অঞ্জন দত্তকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিবিআই। এ দিন জেরা করা হয় অসমের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। সকাল পৌনে ১০টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান হিমন্ত। তবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বেলা ৩টে থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।
সিবিআই সূত্রের বক্তব্য, তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে হিমন্তের বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। তার জেরেই এই তলব। এর আগে হিমন্তের স্ত্রীর একটি খবরের চ্যানেলের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। হিমন্ত অবশ্য বেরিয়ে দাবি করেন যে, ওই চিঠি সুদীপ্ত নন, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির লেখা। সেই ব্যক্তি কংগ্রেসের (হিমন্তের দল) বিরোধী বলেই সন্দেহ তাঁর। “সুদীপ্তর ওই চিঠি নিয়ে আমি ২০১৩ সালেই গুয়াহাটি হাইকোর্টে মামলা করেছি। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত শেষ না হলে নির্বাচনে দাঁড়াব না,” বলেছেন হিমন্ত।
পাশাপাশি, এ দিন হিমন্ত দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে সুদীপ্তর তেমন যোগাযোগ ছিল না। ২০০৯ সালে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ধুবুরিতে একটি জেলা হাসপাতাল উদ্বোধনে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই তিনি ওই এলাকায় একটি বিস্কুট কারখানার উদ্বোধনের কথা শোনেন। হিমন্তের বক্তব্য, “সেখানে পশ্চিমবঙ্গের এক বিধায়ক এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই সুদীপ্তকে দেখি।”
সারদা কেলেঙ্কারিতে এ দিন রাজ্যের এক প্রবীণ সাংবাদিক ও তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তদন্তকারীরা জানান, ওই সাংবাদিক একাধিক খবরের কাগজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার মধ্যে একটির সঙ্গে সারদার চুক্তি হয়েছিল। তার অন্যতম শীর্ষ পদে ছিলেন ওই সাংবাদিকের স্ত্রীও। সেই কারণেই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
Saturday, November 22, 2014
সারদা তদন্ত - ক্রমেই মাথার দিকে এগোচ্ছে সিবিআই
১ কুণাল ২ টুম্পাই ৩...
ক্রমেই মাথার দিকে এগোচ্ছে সিবিআই
নিজস্ব সংবাদদাতা (সৌজন্য - আনন্দবাজার পত্রিকা)
কলকাতা, ২২ নভেম্বর, ২০১৪

চার মুখ...। ব্যারাকপুরে পুলিশ ফুটবল প্রতিযোগিতার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে মদন মিত্র। গ্রেফতারের পর সৃঞ্জয় বসু (টুম্পাই)। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে কুণাল ঘোষ। ছবি: সুদীপ আচার্য, শুভাশিস ভট্টাচার্য, শৌভিক দে এবং স্বাতী চক্রবর্তী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে সারদা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সৃঞ্জয় বসু ওরফে টুম্পাইকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সৃঞ্জয় একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের পাশাপাশি তৃণমূলের মুখপত্রেরও সম্পাদক। শুক্রবার টানা ছ’ঘণ্টা জেরার পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সৃঞ্জয়ের দু’টি ব্যক্তিগত এবং তাঁর সম্পাদিত বাংলা দৈনিকটির দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও এ দিন সিল করে দেওয়া হয়েছে। দিনভর সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে জেরা করার পরে রাতে সৃঞ্জয়কে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আজ, শনিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
সৃঞ্জয় দ্বিতীয় তৃণমূল সাংসদ, যিনি সারদা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হলেন। এর আগে কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করে রাজ্যের গড়া বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সিবিআই-ও তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল। একটি মামলায় তাঁকে চার্জশিটও দিয়েছে সিবিআই।
এ দিন গ্রেফতার হওয়া সৃঞ্জয়ের বিরুদ্ধে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে চাপ দিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। গত বছর এপ্রিলে কলকাতা ছেড়ে উধাও হওয়ার আগে সুদীপ্ত সিবিআই-কে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেছিলেন, সারদার হাতে থাকা বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে সাহায্য করার ব্যাপারে সৃঞ্জয়ের সংবাদপত্রের সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৬০ লক্ষ টাকা করে মোট ২০ কোটি টাকা তিনি সৃঞ্জয়কে দিয়েছিলেন। সুদীপ্তর অভিযোগ ছিল, “আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, এই চুক্তির ফলে আমি নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালাতে পারব। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারব। সৃঞ্জয় এ-ও দাবি করেছিলেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ ঘনিষ্ঠ।”
সিবিআইয়ের মুখপাত্র কাঞ্চন প্রসাদ এ দিন দিল্লিতে জানান, সারদা রিয়েলটি মামলায় সৃঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, টাকা নয়ছয় এবং বেআইনি ভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরেই সৃঞ্জয়-সহ তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। সেই তালিকায় ছিলেন কুণাল ঘোষ, মদন মিত্র, মুকুল রায় এমনকী মমতা নিজেও! যার জবাব দিতে গিয়ে ২০১৩ সালের ৩ মে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে দলীয় এক সভায় মমতা বলেছিলেন, “কুণাল চোর! মদন চোর! টুম্পাই (সৃঞ্জয়ের ডাকনাম) চোর! মুকুল চোর! আমি চোর!” এই তালিকার মধ্যে এই নিয়ে দু’জন গ্রেফতার হলেন। সিবিআইয়ের কাছ থেকে ডাক পেয়েছেন আরও এক জন মন্ত্রী মদন মিত্র।
এ দিনের ঘটনার পর বিরোধীরা মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-কে যে দায়িত্ব দিয়েছিল, অর্থাৎ সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রভাবশালীদের চিহ্নিত করা, সেই কাজে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে তারা। ‘কান টানতে টানতেই মাথা আসবে’ মন্তব্য রাজ্যের এক বিরোধী নেতার।
মমতা গোড়ায় কুণালের পাশে দাঁড়ালেও পরে তাঁকে ত্যাগ করেন। নেত্রীর সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কুণালকেই সারদা-কাণ্ডে অন্যতম দোষী হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করেন তৃণমূল নেতারা। একই ভাবে তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি রজত মজুমদারকে সিবিআই গ্রেফতার করার পরে দল তাঁকে এক রকম অস্বীকার করে! সম্প্রতি নিজের বাড়িতে এক দলীয় কর্মিসভায় ফের মদন-মুকুলের পাশে দাঁড়ালেও সৃঞ্জয়ের নাম উচ্চারণ করেননি মমতা।
এ দিন সৃঞ্জয়ের গ্রেফতারের পরেও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন অবশ্য বলেন, “আগের সরকার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে সিবিআই-কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল। এখন বিজেপি তারই পুনরাবৃত্তি করছে!” তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সিবিআইকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দিল্লির এক পরামর্শদাতা সিবিআইয়েরও পরামর্শদাতা হয়েছেন। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তৃণমূল এর মোকাবিলা করবে।” নেতাজি ইন্ডোরে কলকাতা-সহ তিন জেলার দলীয় কর্মীদের নিয়ে আজ, শনিবারের সম্মেলন থেকে তৃণমূল নেত্রীই সারদা-মোকাবিলার বার্তা দেবেন বলে পার্থবাবু জানান।
এ দিন কল্যাণীতে দলীয় সভায় তার মুখবন্ধও করেছেন মমতা। সেই সভা যখন হয়, তখনও সৃঞ্জয়ের গ্রেফতারির খবর আসেনি। মমতা বলেন, “সারদার কাছে মানুষ টাকা পাচ্ছে না, তার বিচার সিবিআই করুক।
কিন্তু ইদানীং দেখছি, সারদাকে কে প্রতারিত করেছে, তাদের নিয়ে মামলা চলছে। কে টিভি চ্যানেলে গিয়েছিল, কোন পুজোয় কী হয়েছিল, এটা তোমার এক্তিয়ার?”
স্বাভাবিক ভাবেই এর পাল্টা বলেছেন রাজ্যের বিরোধী নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, “সৃঞ্জয় বসু তৃণমূলের বড় নেতা এবং তিনি সারদা কেলেঙ্কারি সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। অন্যদের পাশাপাশি এ বারে তৃণমূলের দ্বিতীয় সাংসদ গ্রেফতার হলেন। মমতা বলেছিলেন, তিনি ইস্তফা দেবেন। এ বার তো অন্তত তাঁর পদত্যাগপত্র লেখার কাজটি শুরু করা উচিত!” বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এ দিন ছিলেন দিল্লিতে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এ বারে কী বলবেন? তিনি যে পাঁচ জন ‘চোর’ কি না বলে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন, তার মধ্যে দু’জন এখন জেলখানায়। আর এক জনও কার্যত জেলখানাতেই, কিন্তু বসে রয়েছেন হাসপাতালে! বাকি রইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়।”
সুর চড়িয়েছে সিপিএমও। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের কটাক্ষ, “প্রথম ব্যক্তি এখন জেলে। দ্বিতীয় ব্যক্তিও গ্রেফতার হলেন। তৃতীয় ব্যক্তি সিবিআই গ্রেফতার এড়াতে বেলভিউ থেকে সরকারি হাসপাতালের প্রহরায়। বাকি দু’জনের অপেক্ষায় আছি!” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, “রাজনৈতিক সততা থাকলে সারদা তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।”
শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সিবিআই দফতরে ঢোকেন সৃঞ্জয়বাবু। এর আগেও তিন-তিন বার তাঁকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। এ দিন ঢোকার সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে। আমি দেশের নাগরিক হিসেবে এখানে এসেছি।” আপনি কি চিন্তিত? উত্তরে সাংসদ বলেন, “আমি তো কোনও ভুল করিনি। চিন্তা কেন হবে?” আপনার খবরের কাগজ এবং সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে জানতেই কি আপনাকে ডাকা হয়েছে? সৃঞ্জয়বাবু বলেন, “সবই তো সূত্র মারফত জানতে পারছেন বলে লিখে দিচ্ছেন। এটাও লিখে দিন।” রাতে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময়ে অবশ্য আর কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
এ দিন সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের আরও এক প্রাক্তন সাংসদ সোমেন মিত্রকে। এখন তিনি কংগ্রেসে। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “আমি অবাক! ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য হিসেবে আমি একবার সেবি-কে চিঠি লিখেছিলাম। সে বিষয়েই আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।” সিবিআই সূত্রে খবর, ইস্টবেঙ্গলের এক কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার সুদীপ্ত-র সঙ্গে সেবি অফিসারদের যোগাযোগ রক্ষা করতেন বলে তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে। দেবব্রতকে গ্রেফতারও করেছে তারা। সেই ক্লাবেরই সদস্য হিসেবে সোমেনবাবু সেবি-কে কেন চিঠি দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।
এ দিন সাড়ে দশটায় সিবিআই দফতরে ঢোকেন রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়। বেরিয়ে যান সাড়ে বারোটা নাগাদ। তিনি বলেন, “কিছু তথ্য দিতে এসেছিলাম। ল্যান্ডমার্ক সিমেন্ট কারখানা ও কিছু জমি সংক্রান্ত যা যা জানতে চাওয়া হয়েছে, তাও জানিয়েছি। আরও কিছু তথ্য সিবিআই আমার কাছ থেকে চেয়েছে। আমি তা পাঠিয়ে দেব।”
সারদা তদন্তে জালিয়াত তৃণমূলী 'চিত্রকর' শুভাপ্রসন্নর মিথ্যে তথ্য!
রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে, মমতার মতো, রাজ্যের এত বড় ক্ষতি আর কেহ কখনও করেন নি
Tuesday, September 16, 2014
India's national security at risk for WB ruling party TMC's link with Bangla militia group Jamat
, ,
-
• , , , , , , , - , , ’
- , ’ , , , , , , , , ,
, - , ,
- ‘--’ , -- ,
Mamta linked with anti Indian forces and to stay in power
Has Anandabazaar Patrika opened a can of worms for Mamata Banerjee?
Posted by: Reetu Sharma Updated: Monday, September 15, 2014, 15:32 [IST]
India's leading Bangla daily 'Ananda Bazar Patrika' has blown the lid off the links between Jamaat-e-Islami in Bangladesh and West Bengal's Trinamool Congress which is led by Mamta Banerjee. This sensational revelation has opened a can of worms for the Mamata Banerjee government in West Bengal.
[Read: What is Saradha Scam?]
The Bengali daily has alleged that the Chief Minister Mamata Banerjee had funded anti-India radical group Jamaat-e-Islami in Bangladesh. And her party received funds from the outfit during 2011 assembly and 2014 Lok Sabha polls.
TMC links with Bangladeshi radical groups
The Anand Bazar Patrika report "Before 2011, the Jamaat helped Trinamool with huge funds secretly transferred across the border. Imran played a key role in it. "Later when the Jamaat faced government's ire during its opposition to war crimes trials, it received funds from Trinamool which had come to power in 2011 and many of whose leaders were ministers in the Manmohan Singh government," the Ananda Bazar Patrika report said, quoting extensively from a detailed report it claims was given to India by Bangladesh intelligence.
Who is Ahmed Hassan Imran?
Ahmed Hassan Imran is a Rajya Sabha MP from West Bengal at present. In 1975-76 he founded West Bengal Muslim Students Association. In 1977, Imran co-founded the Students Islamic Movement of India (SIMI) in Aligarh Muslim University in Uttar Pradesh. Imran became the president of the West Bengal unit of the organization and held the position till 1980. Even after relinquishing the position, Imran remained the primary organizer and spokesperson of the organization till it was banned in 2001. In 1981, he started publishing Kalom as the monthly Bengali mouthpiece of SIMI. Kalom continued to be published as a monthly till 1994 and which also helped SIMI to be spread throughout West Bengal during that time.
How did the money reach Islamists?
The money from Saradha group was stuffed into bags, smuggled into Bangladesh and the BSF's activity was allegedly manned by TMC MP Ahmed Hassan Imran. As per an New Indian Express report, "The CBI and ED learnt that the funds collected from the public, through Saradha's chit fund schemes, were centrally deposited at the group's offices in Salt Lake. After being accounted for, hundreds of crores were transported to various centres close to the Indo-Bangladesh border." Saradha group, with the help of a Kolkata based money exchanger, had allegedly sent illegal money to Bangladesh. The report further said, "The cash was put in huge bags and taken by ambulances belonging to the Saradha group. The Indian currency was then secretly converted to Bangladeshi Taka and European currencies at a "Foreign Currency Convertor Centre", belonging to a man from Kolkata."
How did TMC benefit from Saradha Scam?
Reports claim that the money with which Trinamool leaders funded Jamaat after 2011 came from Saradha coffers. The Saradha money was utilised by Jamaat to trigger and fund violence against Bangladesh government. Reports also suggest that West Bengal chief Minter's links with the Saradha Group date back to 2010 when she was the Railway Minister. Mamata's connection with Saradha Group helped the party receive money for campaigning and winning the 2011 Vidhan Sabha elections and also the 2014 Lok Sabha election. If the reports are to believed then this seems to be a case of quid pro quo where TMC funded these radical groups and these groups returned the favour when the party needed money for campaigning in the 2011 and 2014 elections.
BJP's attack on Mamata Banerjee
"Bangladesh government and intelligence agencies have been raising Imran's connection with the Jamaat. West Bengal CM's have always maintained very good relations with Bangladesh PM Sheikh Hasina. But, TMC supremo stopped such age old traditions between the two governments just to appease Jamaat. Mamata Banerjee didn't even congratulate Hasina when she was re-elected as PM of Bangladesh as this gesture would not have gone down well with Jamaat," West Bengal BJP's president Rahul Sinha told Niticentral.
Ever since Saradha scam expose, Mamata, who is a very flamboyant leader, has maintained her silence on the entire issue. This has given a fodder to her rivals to target her.
"You (Mamata) are not protesting against duping of 17 lakh investors in the Saradha scam and coming down on the streets, because your own associates and stooges are involved. We need an answer to who took away the Saradha scam money.
"We are not afraid of anyone because our workers are not involved in any scam. Whether it's Saradha or anything else, we will do the work of arresting and putting the culprits behind bars," BJP president Amit Shah had said in a rally in central Kolkata.
"More than 2,000 farmers had lost their land in Nandigram and Singur and you had gone on fast protesting against that injustice. But in this Saradha scam more than 17 lakh people of Bengal have lost their deposits," Shah had said.
Shah had also alleged that Bangladeshi infiltration has gone up by five times in the Trinamool regime as Mamata Banerjee was only pursuing politics rather than developing the state.
If the entire scenario comes out to be true then it will certainly put a black mark over political parties and make it more certain that parties can even risk the national security for their gain and vested interests.
Mamta role as Railways minister under lens of CBI
বর্তমান
১৫-০৯-২০১৪
১৫-০৯-২০১৪
-
·
: ‘’ ,
, ‘ ’ ‘ ’ ’ ,
, , , ‘-’ ( , ) - ‘’
,
,
, ,
’
, ‘’ ? ,
,
, ,
’
, ,
’
Sunday, September 14, 2014
Mamta used her post to let people cheat by Sardha
অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে সরকারি তকমা, আমানতে বাজিমাত
শুভাশিস ঘটক (সৌজন্য - আনন্দবাজার পত্রিকা)
কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫৫:৪৭
মহাকরণের মঞ্চে রিমোট কন্ট্রোলের বোতাম টিপলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের জঙ্গলমহল ও লাগোয়া অঞ্চলের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-পরিষেবার সূচনা হয়ে গেল। কয়েকটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানটি পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুরের হাজারো মানুষকে দেখানো-ও হল। ওই সব তল্লাটে বিশেষ এক সংস্থার খোলা দেড়শো শাখা অফিসের সামনে, এলসিডি স্ক্রিন খাটিয়ে।
তিন বছর আগের কথা। ২০১১-র ৯ জুলাই। মুখ্যমন্ত্রী সে দিন জঙ্গলমহল ও সন্নিহিত এলাকায় যে স্বাস্থ্য-প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন, তার নাম ‘মেডিটেক।’ আর সেখানে যে সংস্থার অফিসের সামনে এলসিডি পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছিল, তার নাম সারদা-মেডিটেক। সুদীপ্ত সেনের সারদা গোষ্ঠীভুক্ত ওই সংস্থাটিই ছিল প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বে। সে দিন পশ্চিম মেদিনীপুর-পুরুলিয়া-বাঁকুড়া জুড়ে মেডিটেকের দেড়শো অফিসের সামনে জড়ো হওয়া জনতাকে সংস্থার কর্মীরা বুঝিয়েছিলেন, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সারদা এ বার জঙ্গলমহলে এসে গিয়েছে, রাজ্য সরকারের হয়ে উন্নয়ন করার জন্য।
তিন বছর পরে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত-সূত্রে ‘মেডিটেক’ এখন সিবিআইয়ের আতসকাচের নীচে। কেন?
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বলছেন, চার বছর আগে সারদা রীতিমতো চুক্তি করে আইআরসিটিসি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল। তখন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না-করে কী ভাবে চুক্তিটি হল, তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। প্রায় একই ভাবে লিখিতপড়িত চুক্তি না-করেই সারদাকে দিয়ে রাজ্যের তিন জেলায় সমান্তরাল স্বাস্থ্য-পরিষেবা চালিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যাকে সামনে রেখে সারদা সেখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
মেডিটেকের মাধ্যমে সারদা ওখানে কী রকম পরিষেবা দিচ্ছিল?
প্রশাসনিক-সূত্রের খবর: চার জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ডাক্তারের নেতৃত্বে চিকিৎসা-দল গড়া হয়েছিল। ওই চিকিৎসকদের মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন দিত সারদা। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডে লক্ষাধিক টাকা মাসিক ভাড়ায় একটা বাড়ি নিয়ে প্রকল্পের অফিস চালু হয়। কেনা হয় ১৪টি সাধারণ অ্যাম্বুল্যান্স। হরিয়ানা থেকে মাসিক দেড় লাখ টাকা ভাড়া-চুক্তিতে একটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাযানও আনা হয়, যার চালক-খালাসির মোট মাসিক বেতন ছিল ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া গাড়িপিছু মাসিক দশ হাজার টাকা ভাড়ায় ১৫টি গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছাতে ৭৫টি মোটরবাইক কিনেছিল সারদা। তাতে চড়ে গিয়ে রোগী খুঁজে আনার জন্য মাসিক তিন হাজার টাকা মাইনে দিয়ে রাখা হয়েছিল ৭০ জন কর্মীকে। রোগীরা বিনামূল্যে ওষুধ পেতেন, যে বাবদ মাসে লাগত প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন সরকার তখন সদ্য ক্ষমতায় এসেছে। জঙ্গলমহলে তখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কিষেণজি ও তাঁর দলবল। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে প্রকল্পের সূচনা হতেই মাওবাদী-অধ্যুষিত বিস্তীর্ণ এলাকায় হইহই করে কাজে নেমে পড়ে সারদা-মেডিটেকের হেল্থ টিম। গড়বেতার বাসিন্দা বিবেকানন্দ দত্তের কথায়, “সারদার লোকেরা বলত, আমরাই সরকারি কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছেন।”
বিবেকানন্দবাবুর মতো অনেকে জানিয়েছেন, নিখরচায় ডাক্তার, ওষুধ ইত্যাদি পেয়ে গরিব মানুষ দু’হাত তুলে মুখ্যমন্ত্রী ও সারদার জয়গান করতে শুরু করেন। পাশাপাশি মাওবাদীদের প্রভাবে ভাটার টান ধরে। সারদা’র তথ্য বলছে, জঙ্গলমহলে প্রায় হাজার দেড়েক মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছিল সারদা-মেডিটেক। তাতে ১ লক্ষ ৩২ হাজার রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। কলকাতার গোলপার্কে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মেডিটেক অ্যাকাউন্টের হিসেব অনুযায়ী, প্রকল্পে অন্তত এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গোয়েন্দা-সূত্রের দাবি: ব্যাঙ্কের হিসেবের বাইরে আরও প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে সুদীপ্ত সেন জেরায় জানিয়েছেন। বাড়তি টাকা নগদে দেওয়া হয়েছিল।
এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল। ক্রমশ বোঝা যায়, গল্পটা অন্য। কী রকম? সিবিআই-সূত্রের খবর: মুখ্যমন্ত্রী মেডিটেক প্রকল্প চালু করার পরে সারদা জঙ্গলমহলের তিন জেলায় প্রায় সাড়ে বারো হাজার লগ্নি-এজেন্ট নিয়োগ করে। তাদের কাজ ছিল, অবাস্তব সুদের টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তোলা। সারদা-মেডিটেকের সঙ্গে সরকারের নাম জড়িয়ে থাকায় যে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। স্থানীয় বেশ কিছু আমানতকারী ও এজেন্টের কথাতেও এটা স্পষ্ট। যেমন সারদার চন্দ্রকোনার এজেন্ট পিন্টু আচার্য জানাচ্ছেন, আঠারো মাসে জমা টাকা দ্বিগুণ করার একটা প্রকল্প জঙ্গলমহলে নিয়ে আসে সারদা। “আমানতের ঢল নামে। মুখ্যমন্ত্রী সারদার পিছনে আছেন জেনে লোকে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস থেকে টাকা তুলে সারদায় জমা করেন।” বলছেন পিন্টু। প্রতারণার জাল ছড়াতে থাকে। তাতে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু লোক, যাঁদের মধ্যে বহু এজেন্টও আছেন। বাঁকুড়ার রাইপুরের বিদ্যুৎ গুঁই যেমন। তিনি বলেন, “মোটা কমিশনের লোভে সারদার এজেন্ট হয়েছিলাম। আত্মীয়দের বুঝিয়ে কয়েক লাখ টাকা আমানত করি, নিজেও চার লাখ টাকা রেখেছিলাম। গোড়ায় কিছুু ফেরত পেলেও বাকিটা ডুবে গিয়েছে।”
মেডিটেক পা ফেলার পরে জঙ্গলমহলে সারদার লগ্নি-কারবার কতটা ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল, সংস্থার এক প্রাক্তন পদাধিকারীর কথায় তার আঁচ মিলেছে। তিনি জানান, ২০১১-র আগে তিন জেলায় সারদার অফিস ছিল সাকুল্যে ১৮টি। আমানত আসত নামমাত্র। কিন্তু মেডিটেক উদ্বোধনের পরে মোট ৬৫টি অফিস গজিয়ে ওঠে। পরবর্তী এক বছরে শুধু এই তিন জেলা থেকে সারদা মোট ১৪৮ কোটি টাকা তুলেছে বলে তাঁর দাবি। খড়্গপুরের এজেন্ট শ্যামল বিশ্বাসের আক্ষেপ, “বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকার পাশে আছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে। জনগণের টাকা মার যাওয়ার ভয় নেই। আমরাও মানুষকে তা-ই বুঝিয়েছি। এখন দেখছি, পুরোটাই চক্রান্ত ছিল!”
লগ্নি টানার ‘চক্রান্তের’ চেহারাটা কেমন ছিল, জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকার এজেন্ট ও আমানতকারীদের মুখে তা-ও জানা গিয়েছে। সম্ভাব্য আমানতকারীদের দেখানো হতো, সারদার অ্যাম্বুল্যান্স, যাতে জ্বলজ্বল করছে এমন এক প্রকল্পের নাম, যা কিনা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে চালু হয়েছে! এতেও যাঁরা টাকা রাখতে রাজি হতেন না, তাঁদের অনেককে গাড়িতে চাপিয়ে দুর্গাপুরে সারদা-এজেন্টদের সেমিনারে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে সারদার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া রাজ্যের কয়েক জন মন্ত্রীর ছবি দেখিয়ে ওঁদের ভরসা জোগাতেন কর্তারা। সিবিআই জেনেছে, মেডিটেক চালু হওয়ার পরবর্তী দেড় বছরে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন ও তাঁর ছায়াসঙ্গিনী দেবযানী মুখোপাধ্যায় বেশ ক’বার জঙ্গলমহল সফর করেছিলেন। বলরামপুর, সারেঙ্গা, চন্দ্রকোনা রোড ইত্যাদি জায়গায় সারদার বিভিন্ন অফিসে এজেন্টদের সঙ্গে গোটা তিরিশেক বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানে সরকারের সঙ্গে সংস্থার ‘সুসম্পর্কের’ বার্তা দিয়ে এজেন্টদের উদ্দীপ্ত করা হয়।
সরকারকে সামনে রেখে ছড়ানো এ হেন প্রতারণার জালেই আটকে গিয়েছিলেন লাখো মানুষ। বাঁকুড়ার সারেঙ্গার বেলটিকরি গ্রামের দিনমজুর সমীরণ মণ্ডল যেমন, বড় চাষি সুধাকর মণ্ডলও তেমন। সমীরণবাবুর মন্তব্য, “সারদার অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের ছবি দেখিয়ে এজেন্টরা বলত, সারদা হল গিয়ে প্রায় সরকারি সংস্থা। টাকা রাখলে মার যাবে না। ওদের কথায় ভরসা করে বড্ড ভুল করেছি।” এজেন্টদের অনেকের বক্তব্য, একই কায়দায় তাঁদেরও ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। “দুর্গাপুরে আমাদের সঙ্গে মিটিং করতে করতে সুদীপ্তবাবু মাঝে-মধ্যে ফোন হাতে উঠে যেতেন। ফিরে এসে বলতেন, সিএম খোঁজ নিচ্ছিলেন! কোম্পানির ঠাঁটবাট দেখে বিশ্বাসও করেছিলাম।” জানাচ্ছেন সারেঙ্গার এক এজেন্ট। বাঁকুড়ার খাতড়ার এজেন্ট বাবলু পণ্ডার খেদ, “এখন বুঝছি, সব ভাঁওতা। মানুষ এখন আমাদের দুষছেন।” ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়ার এক এজেন্টের স্বীকোরোক্তি, “ওরা বলেছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখিয়ে সবাইকে বোঝাতে। এর পিছনে যে এত বড় খেলা রয়েছে, কে জানত?”
এমতাবস্থায় সিবিআই মনে করছে, রাজ্য সরকারের নাম জড়িয়ে জঙ্গলমহলে সারদার স্বাস্থ্য-পরিষেবা চালু এবং স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে তার উদ্বোধন করিয়ে আমজনতার বিশ্বাস অর্জন পুরোটাই একটা গভীর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সারদা-মেডিটেকের খরচের ব্যাপারটা প্রথম নজরে আসে গোলপার্কের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে। পরে সুদীপ্ত সেন ও তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রান্তের কিছুটা আঁচ মেলে।
মেডিটেক প্রকল্পের গতি শেষমেশ কী হল? সিবিআই অফিসারেরা জানিয়েছেন, সূচনার ক’মাসের মধ্যে তার পাট ধীরে ধীরে গুটিয়ে ফেলা হয়। অন্য দিকে রমরমিয়ে চলতে থাকে আমানত সংগ্রহ। মোটরবাইক-আরোহী স্বাস্থ্যকর্মীদের ছাঁটাই করে দু’চাকাগুলো দিয়ে দেওয়া হয় সারদার লগ্নি-এজেন্টদের হাতে।
জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত পথেও দাপিয়ে ছুটতে থাকে প্রতারণার রথ।

সহ প্রতিবেদন: রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁকুড়া), দেবব্রত দাস (খাতড়া), কিংশুক গুপ্ত (ঝাড়গ্রাম)
Saturday, September 13, 2014
Mamta nominated Imran for her party MP, knowing his terrorist link
ইমরান নিয়ে সতর্ক করেন রাজ্যের গোয়েন্দারাও
শুভাশিস ঘটক (সৌজন্য - আনন্দবাজার পত্রিকা)
কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:২৪:৫৭
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির রিপোর্ট তো ছিলই, রাজ্য সরকারের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগও অভিযোগের আঙুল তুলেছিল আহমেদ হাসান ইমরানের বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোয়েন্দা পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ক্যানিং থানার নলিয়াখালিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় ইমরানের যুক্ত থাকার কথা জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র দফতরকে। তার পরেও চলতি বছরের গোড়ায় ইমরানকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ফেব্রুয়ারির ভোটে বাম-কংগ্রেসের ভোট ভাঙিয়ে জিতেও যান ইমরান।
ইমরানের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তুলেছিল ডিআইবি? সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার তাঁর রিপোর্টে বলেছেন, ২০১৩-র ২০ ফেব্রুয়ারি ভোরে নলিয়াখালিতে মৌলানা রহুল কুদ্দুস নামে এক নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়। এর ঘণ্টাখানেক পরেই এলাকায় মাইক বাজিয়ে উস্কানিমূলক প্রচার শুরু করে কয়েকশো যুবক। এই প্রচারের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন জীবনতলা থানা এলাকার তিন বাসিন্দা। এঁরা ইমরানের অনুগামী বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
তদন্তকারী অফিসার লিখেছেন, “...এঁদের কারও কারও সঙ্গে পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা, সিমি-র (স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া) প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জনৈক আহমেদ হাসান ইমরানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ...ওই ব্যক্তি এখন এসআইও-র (স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন) সদস্য। জানা গিয়েছে, এই ইমরান পার্ক সার্কাস থেকে বিপুল সংখ্যক মুসলিম যুবককে বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র-সহ নলিয়াখালিতে পাঠানোর ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। এই যুবকরা সেখানে বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, লুঠপাট চালায়।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই দিন সকাল থেকে দুপুর থেকে পর্যন্ত নলিয়াখালিতে প্রায় ৩০০ বাড়ি ভাঙচুর করে বা আগুন লাগিয়ে লুঠপাট করা হয়েছিল। এবং শুধু পার্ক সার্কাস নয়। কলকাতার রাজাবাজার-মেটিয়াবুরুজ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট-বাসন্তী এলাকা থেকেও বহু সশস্ত্র যুবককে সে দিন নলিয়াখালিতে পাঠিয়েছিলেন ইমরান।
গোয়েন্দা পুলিশ খবর পেয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে কয়েক জন সংখ্যালঘু নেতার সঙ্গে বৈঠক করে কী ভাবে সংঘর্ষ সংগঠিত করেছেন, তা বিস্তারিত জানান ইমরান। ভবিষ্যতে ওই এলাকায় কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা হবে, সেই বিষয়ে পরিকল্পনার কথাও অন্য নেতাদের জানান তিনি।
গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য মিলেছে। তদন্তে নেমে ইমরানের চারটি মোবাইল নম্বরের হদিস পান গোয়েন্দারা। ওই চারটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইমরান ওই দিন সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু ওই দিনের সংঘর্ষ সংগঠিত করাই নয়, ইমরান বিপুল পরিমাণ বিদেশি অর্থ নিয়ে এসে এ রাজ্যে মৌলবাদের প্রচারে কাজে লাগান। রাজ্যের বহু প্রত্যন্ত এলাকায় সংঘর্ষ সংগঠিত করার কাজেও এই অর্থ খরচ করা হয়।
এই রিপোর্ট সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ইমরানের সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি। এসএমএসের জবাবও দেননি তিনি।
নলিয়াখালিতে সংঘর্ষের পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলা গোয়েন্দা দফতরের এক ইনস্পেক্টর ঘটনার সরেজমিন তদন্ত রিপোর্ট দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেন। দু’এক দিনের মধ্যেই ওই রিপোর্টটি রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানো হয়।
এই গোয়েন্দা রিপোর্টের কথা কি তবে মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না? রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে যিনি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ প্রতিরোধ করা জন্য বারবার আবেদন করেন, তিনিই কী ভাবে এমন পুলিশ রিপোর্ট থাকা এক জনকে রাজ্যসভায় পাঠালেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা শুক্রবার জানান, “ওই রিপোর্ট মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের পাশাপাশি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়েছিল।” ফলে ইমরান সম্পর্কে কিছু না-জেনেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছেন, পুলিশ কর্তাদের একাংশই তা মানতে নারাজ।
TMC joined hand with terror organisations, compromised national security!
TMC joined hand with terror organisations, compromised national security!
Saradha Scam Shocker: Mamata aide’s link with SIMI, Jamaat rocks Bengal
Vote-bank politics is so predominant among the leaders of the Congress and the TMC that they seem to be eager to compromise with the national security by joining hands with terror organisations. Recently, the Saradha scam money trail was tracked in Bangladesh according to an Anand Bazar Patrika report – Jamaater santraseo Jamaater Taka. TMC Rajya Sabha MP Ahmed Hasan Imran was instrumental in channelising Saradha scam money, who had been earlier interrogated by the CBI for having illicit links with SIMI. Reports also suggest that the trails can be traced to the doorsteps of West bengal CM Mamata Bannerjee. The Saradha money was used for triggering violence against Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina.In an exclusive interview on Niti Central, West Bengal BJP president Rahul Sinha spoke at length on the issue.
क्या देश की सुरक्षा से बढ़ कर वोट बैंक की राजनीति है | शायद हैं इसीलिए TMC , लेफ्ट और कांग्रेस को वोट के लिए आतंकवादी संगठनो से भी हाथ मिलाने में कोई परहेज़ नहीं है| शारदा चिट फण्ड में बंगाल के लोगों का पैसा किस तरह से बांग्ला देश के आतंकी सगठन जमात इ इस्लाम और सीमी तक पहुँचाया गया और फिर किस तरह से 2011 के बंगाल विधान सभा चुनाव और लोकसभा 2014 के चुनावों में वही पैसा वापिस TMC तक पहुंचा | इतना ही नहीं ममता के साथ साथ लेफ्ट और मनमोहन सरकार के वित्तमंत्री चिदंबरम की पत्नी की भूमिका भी शारदा चिट फण्ड घोटाले में रही | इसमें कितनी सच्चाई है इसका पता इस बात से भी चलता है कि आनंद बाजार पत्रिका और बंगला देश के घोरे कागज में ममता के जमात और सीमी से संबंधों की खबर छपने के बावजूद भी TMC ने इन दोनों संस्थाओं के खिलाफ कोई मानहानि का दावा नहीं किया | क्या है सच्चाई शारदा चिट फण्ड के पैसों को जमात और सीमी तक पहुँचाने की, इस मुद्दे पर खास बातचीत बीजेपी बंगाल के अध्यक्ष राहुल सिन्हा से सिर्फ नीति सेंट्रल पर
Now Mamta and her party MP reportedly involved in anti India activities
জামাত-যোগের তদন্তে কেন্দ্র
নিজস্ব সংবাদদাতা (সৌজন্য - আনন্দবাজার পত্রিকা)
নয়াদিল্লি ও কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:২০:৫৭
তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের বিরুদ্ধে সারদার টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির যে অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত চলছে বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আজ মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আইন আইনের পথেই চলবে। এতে আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না।”
ইমরানের ‘সন্দেহজনক’ ভূমিকা নিয়ে রাজ্যের গোয়েন্দা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এমনকী বাংলাদেশি গোয়েন্দা সংস্থাও যে সংশ্লিষ্ট মহলে নিয়মিত সতর্কবার্তা পাঠিয়ে এসেছে, তার প্রমাণ মিলেছে ইতিমধ্যেই। এ বার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তদন্তের কথা জানিয়ে দেওয়ায় আরও এক দফা অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। রাজ্যের শাসক দল অবশ্য বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে দাবি করেছে, ইমরান সংখ্যালঘু বলেই তাঁকে জড়িয়ে ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, দলীয় ওয়েবসাইটে আজ আনন্দবাজারকেও সরাসরি আক্রমণ করেছে তারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্র বলছে, বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কারণ, রাজ্যসভার এক সাংসদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছে। তা ছাড়া, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই, যারা কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রক তথা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। বস্তুত, সেই কারণেই রাজনাথ আজ বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া এড়িয়ে যান বলে মন্ত্রক-সূত্রের বক্তব্য।
তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়ে দিচ্ছেন, ইমরানের ভূমিকা কখনওই সন্দেহের ঊর্ধ্বে ছিল না। দীর্ঘদিন তিনি নিষিদ্ধ মৌলবাদী সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি)-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মনে করে, তত দিনে সিমির শিকড় গোটা দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে। তলে তলে ভারত-বিরোধী কাজে এখনও সক্রিয় তারা। জঙ্গি কাজকর্মের জন্য টাকাও তুলছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ধরনের কাজে ইমরানের মতো প্রাক্তন সিমি নেতারাও জড়িত।
এই সূত্রেই এসে পড়ছে ইমরানের সারদা-যোগ ও জামাত-যোগের প্রসঙ্গ। কেন্দ্রের গুরুতর জালিয়াতি তদন্ত সংস্থা বা এসএফআইও তাদের রিপোর্টে সম্প্রতি জানিয়েছে, সারদা গোষ্ঠীর টাকার একটি বড় অংশ আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় পাচার হয়ে গিয়েছে। হাওয়ালার মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে ওই টাকা পাচার হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্র। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাচার হওয়া টাকার একটি অংশ তিনি দিয়েছেন জামাতে ইসলামির তহবিলে। সেই টাকা বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বলে গোয়েন্দাদের দাবি। সূত্র বলছে, বাংলাদেশে গণহত্যার অপরাধে কাদের মোল্লার ফাঁসি ঘোষণা হওয়ার পর ধর্মতলায় বেশ কিছু সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছিল। জামাত ও সিমির মদতেই ওই কাজ হয়েছিল এবং তাতে ইমরানের সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলেই জানতে পেরেছে কেন্দ্র।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন অবশ্য আজ বলেছেন, “বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে এই (ইমরান) সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট আমরা পাইনি। আজ বিকেল চারটে অবধি যোগাযোগে ছিলাম। তখনও পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি।”
আকবরউদ্দিনের কথার সূত্র ধরেই তৃণমূলের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তৃণমূলের টাকা বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে আনন্দবাজারে যা প্রকাশিত হয়েছে তা সর্ম্পূণ ভুল।” তবে কূটনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য, দু’দেশের সম্পর্ক জড়িত, এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে কখনওই নির্দিষ্ট করে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলা হয় না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ভাবে জোর দিয়ে তদন্তের কথা জানিয়েছেন, তাতেই বিষয়টি স্পষ্ট।

বিবৃতির পাশাপাশি ইমরানের হয়ে বলার জন্য তৃণমূল আজ এগিয়ে দিয়েছিল দলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ (ববি) হাকিমকে। সংবাদমাধ্যম ‘অপ্রীতিকর ও অসত্য’ খবর করছে বলে অভিযোগ করে সুব্রতবাবুর দাবি, “জামাত-সিমিকে জড়িয়ে, আমাদের দলের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের কথা তুলে যে সব খবর প্রচার করা হচ্ছে, এত কুরুচিকর সংবাদ ইদানীং কালে দেখিনি!” ওই সব অভিযোগের পক্ষে তথ্যপ্রমাণ হাজির করার জন্য সংবাদমাধ্যমকে চ্যালেঞ্জও করেছেন সুব্রতবাবু। না হলে তাঁরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, “এর পিছনে বিজেপি রয়েছে। তারা প্রাদেশিকতা, সংঘর্ষ ছড়াতে চাইছে। প্রয়োজনে রক্ত দিয়েও দাঙ্গাবাজদের রাজনীতিকে আমরা রুখব!” কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো জামাত-যোগ নিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন। সুব্রতবাবুর বক্তব্য, “তদন্ত হবে বলেছেন। তদন্তে কিছু প্রমাণিত হলে নিশ্চয়ই সাজা পাবে। কিন্তু তার আগেই ইমরানকে অপরাধী বানানো হবে কেন?” সুব্রতবাবুর থেকে এক ধাপ এগিয়েই ফিরহাদ বলেছেন, “সংখ্যালঘু বলেই ইমরানকে জড়িয়ে এ সব প্রচার হচ্ছে। তৃণমূল তাকে সাংসদ করেছে, এই অপরাধে বিজেপি সাধারণ ঘরের এক সংখ্যালঘু মানুষকে কালিমালিপ্ত করছে।”
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, “ওঁরা আদালতে গেলে ভালই হয়। আমি ওঁদের আদালতে স্বাগত জানাচ্ছি। সংখ্যালঘু বলে ইমরানকে আক্রমণ করার প্রশ্নই নেই। তিনি দেশদ্রোহিতায় যুক্ত। তাই তাঁর সমালোচনা করা হচ্ছে।” সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের কথায়, “এগুলো চেনা রাজনীতির ছক! দুর্নীতিতে জড়িয়ে মায়াবতীও বলতেন, দলিত বলে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। তৃণমূল বলছে, সংখ্যালঘু বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। বরং মুসলিম হিসেবেই ওই সাংসদের আরও ইমানদার হওয়া উচিত ছিল!” প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার বৃহত্তর পরিকল্পনায় যে ভাবে জামাতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ হয়েছে, তা প্রতিরোধের চেষ্টা না করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব এবং অর্থমন্ত্রীর ভূমিকাকেও তদন্তের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন সেলিম।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ইমরানের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে জঙ্গি বলে উল্লেখ করেছিলেন সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। শুক্রবার বেনিয়াপুকুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করেছেন ইমরান। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।
*************************
কমিটি গড়ছেন হাসিনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
জামাতে ইসলামির জঙ্গি আন্দোলন ও নাশকতায় সীমান্ত পারের অর্থ কী ভাবে, কোন পথে বাংলাদেশে ঢুকেছে, তা অনুসন্ধান করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশের মৌলবাদীদের হাতে গিয়েছে শুক্রবার আনন্দবাজারে এই খবর প্রকাশের পরই তিনি এই কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনে তৎপর হয়েছেন সচিবরা। এক জন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর নেতৃত্বে কয়েক জন সাংসদ ও সচিবকে নিয়ে এই কমিটি গড়া হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপ প্রতিরোধে আওয়ামি লিগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই একটি সরকারি কমিটি গড়েছেন হাসিনা। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও এই কমিটিতে রয়েছেন। তাঁদেরও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভোটের স্বার্থে জঙ্গিদের নিয়ে রাজনীতি অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রবণতা। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই এর মাসুল দিচ্ছে। দু’দেশের রাজনীতিকদেরই এই প্রবণতা থেকে দূরে থাকা উচিত।
নজরে সাংসদের মৌলবাদী যোগ,জামাতের সন্ত্রাসেও সারদার টাকা
Bengal Minister Partha also involved in Sardha Chit Fund scam
ফের বিস্ফোরক কুণাল, এবার নিশানায় চন্দ্রিমা, কৃষ্ণা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Saturday, 13 September 2014 10:12 PM
কলকাতা: ফের বিবৃতিতে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। সারদাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর পর তাঁর নিশানায় এবার কৃষ্ণা-চন্দ্রিমা।

সারদাকাণ্ডে তদন্তের মাঝপথে সিবিআই দফতরে ধর্না শুরু করেছেন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। নিজের বিবৃতিতে এবার সেই প্রসঙ্গ টেনে ফের বোমা ফাটালেন তৃণমূলের এই সাসপেন্ডেড সাংসদ। সেইসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-কৃষ্ণা চক্রবর্তীর মতো যে তৃণমূল নেত্রীদের ধর্নায় নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধেও তুললেন গুরুতর অভিযোগ। বিবৃতিতে কুণালের দাবি, রাজ্যের আইনমন্ত্রী স্বয়ং যেভাবে রাস্তায় নেমেছেন, তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
তৃণমূলের বিক্ষোভে সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীকেও। সেই প্রসঙ্গ টেনে বিবৃতিতে কুণালের চাঞ্চল্যকর দাবি, সিবিআই দফতরের সামনে যাঁরা বিক্ষোভ করছেন, তার মধ্যে কৃষ্ণা চক্রবর্তী তাঁর বিধাননগর পুরসভার চলচ্চিত্রোৎসবের নৈশভোজ আয়োজনে সুদীপ্ত সেনের স্পনসরশিপ নিয়েছিলেন। গোটা শহরে যে হোর্ডিং ছিল, তার অনেকটাই সারদার খরচে। কৃষ্ণাদেবীর স্বামী সমীর চক্রবর্তীকে কিছু বিষয়ে সিবিআই প্রশ্ন করেছে। এসব ঠেকাতে তিনি বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
কুণালের আরও দাবি, কোনও বেসরকারি কোম্পানি অসৎ না জানা পর্যন্ত সেখানে চাকরি বা বিজ্ঞাপন নেওয়া (আয়কর দিয়ে) দোষের হতে পারে না। অথচ আমাকে এজন্য মাসের পর মাস বন্দি রাখা হল। কৃষ্ণা চক্রবর্তীরা তাহলে একই অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন না কেন? কুণালের দাবি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি।
বিবৃতিতে ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকেও আঙুল তুলেছেন কুণাল। তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব একটি কর্মসূচিতে (সরকারি নয়/যেখানে পার্থবাবু চেয়ারম্যান) কর্পোরেট পার্টনার হিসেবে এমপিএস, আইকোর, টাওয়ার সহ বহু চিটফান্ডের অর্থসাহায্য নিয়েছেন। ... যিনি নিজের কাজে/কর্মসূচিতে বহু চিটফান্ডের টাকা নেন, তিনি কেন চিটফান্ডের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন না?
শুক্রবার আলিপুর আদালতেও ২০১২ সালের একটি দুর্গাপুজোর কার্ড বের করে কুণাল বলেন, কার্ডটি দেখুন। কার্ডে সারিবদ্ধভাবে চিটফান্ড সংস্থার নাম রয়েছে। পুজোর কর্পোরেট পার্টনার হিসেবে তাদের দেখানো হয়েছে। পুজো কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সেই পুজো কমিটি অবশ্য শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তৃণমূল নেতা রজত মজুমদার দাবি করেন, সুদীপ্ত সেন তাঁর হাত দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়ের কাছে টাকা পাঠাতেন বলে কুণাল সিবিআইকে জানিয়েছেন। কিন্তু বিবৃতিতে কুণালের দাবি, সিবিআই কর্তারা সাক্ষী এই প্রসঙ্গটিতে মমতার নাম উল্লেখ পর্যন্ত হয়নি। রজতদা কেন বললেন, বুঝলাম না।
বৃহস্পতিবারই স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার উদযাপন-মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “স্বামীজিকেও অনেক সমালোচনা, অনেক বিতর্ক, অনেক কষ্ট, বুকে ব্যথা সহ্য করে লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়েছিল।’’ সরাসরি কারও নাম না করলেও কুণালের বিবৃতির শেষ অংশ, স্বামী বিবেকানন্দ অনেক সমালোচনা সহ্য করে বুকে ব্যথা নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছোন। কেউ আবার সমালোচনা এবং বুকের ব্যথা অন্যকে দিয়ে নিজে লক্ষ্যে পৌঁছোন!
************************************************

, ,
************************************************

, ,
, : ‘’ , , , ,
, , ,
, , ? , , ? ? - , , , , , , , , , , , ?
, , , , ? ’- , ?
, , , , , ,
Subscribe to:
Posts (Atom)