যাদবপুরকাণ্ডে পুলিশ সংবেদনশীলতার সঙ্গে, ধৈর্য্য ধরে কাজ করেছে। সাংবাদিক বৈঠক করে আজ এমনই দাবি করেছেন পুলিশ কমিশনার সুরজিত কর পুরকায়স্থ। তাঁর দাবি, পুলিশ যা করেছে, আইন মেনেই করেছে।
পুলিশ কমিশনারের দাবি, বহিরাগতদের কাছে মারাত্মক অস্ত্র ছিল, এমনই খবর ছিল পুলিশের কাছে। তিনি আরও বলেন তাও অনেক সংবেদনশীলতা ও ধৈর্য্যে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সামলানোর চেষ্টা করে পুলিশ। তাদের উপর কোনও লাঠিচার্জ করা হয়নি, কারণ কোনও পুলিশকর্মীর হাতে লাঠি ছিল না।
পুলিশ কমিশনার আরও দাবি করেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লিখিতভাবে পুলিশের কাছে জানিয়ে ছিলেন ছাত্রদের আন্দোলনের জেরে তাঁর প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা আছে, তারপরই ক্যাম্পাসে যায় পুলিশ।
এদিকে আজও মঙ্গলবার মধ্যরাতের ঘটনার প্রতিবাদ-আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যের পদত্যাগ ও পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় বিজেপির মহিলা মোর্চা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ডিএসও। এদিকে, আক্রান্ত পড়ুয়াদের দেখতে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে যান সিপিআই নেতা শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল, তিনিও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন।
মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদের অবস্থান বিক্ষোভে মধ্যরাতে আলো নিভিয়ে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মেয়েদের ওপর নির্মমভাবে লাথি, ঘুসিও মারা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন মহল ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে।
No comments:
Post a Comment